হাত বাড়িয়ে বললে আমায়, বৃষ্টিতে নামি আয়,
এই জীবনের আশিটি বছর পার করে দিলে তৃষ্ণায়।
স্মৃতির পাতায় ঝাপসা হয়ে মনে পড়ে তোমায়,
তুমিতো চাইতে বৃষ্টি নামুক অগণিত সন্ধ্যায়!
আজ মনে হয় কত’শত শ্রাবণ কেটেছে অবহেলায়,
কত রংধনু আকাশে উদিত, বিদ্যুৎ চমকায়।
লাঠি ভর দিয়ে বৃষ্টিতে নেমে মন কেঁদে উঠে হায়,
আজন্ম তৃষ্ণা মিটাবো কি করে এই ক্ষণ বরষায়।
বৃষ্টি ভালবাসো?….. কেমনে শুধাবো, প্রিয়া….
ভালোবেসেও অবহেলার ছলে পাপ জড়িয়েছি গায়।
বলেছিলে, মধুর মমতায়, চলো একদিন সুদূর পাড়া’গাঁয়,
নৌকায় চড়ে বৃষ্টি দেখবো, শাপলা কুড়াবো দুজনায়।
নৌকার ছই’য়ে বৃষ্টির গান, টিপটিপ, রিমঝিম,
দেখবে জীবন কত সুন্দর, কোলাহলময় প্রাণ।
যেতে চাই আজ, নিয়ে চলো মোরে, হোক যত অন্যায়,
দুচোখ ভরে স্বপ্ন বুনিবো এই শ্রাবণ বরষায়।
ব্যস্ত জীবনে ছুটে চলেছি উল্টো গতিতে হায়
বৃষ্টিস্নাত হয়ে যদি কমে ঋণী বেদনা-দায়।
আমায় ভালোবাসো?…. কেমনে বলিবো, প্রিয়া….
শত প্রিয়মুখ, ভালোবাসার মাঝে, শুধু তোমাকেই খুঁজে যাই।
তরুণ হৃদয়ে কত রংধনু, কত দুস্তর পথ,
তুমি আমি মিলে পাড়ি দেবার মিছে সে শপথ।
রঙিন সে সময় ফুরায়ে আজ দিন গুনি বেদনায়,
বৃষ্টির দিনে ফিরে যেতে চাই পুরোনো সে আঙিনায়।
জানালার ফাঁকে মুগ্ধ দুচোখ অপলক চেয়ে রয়
বৃষ্টির ফোঁটা লুটায়ে পড়ে আজ অন্ধকার বাগিচায়।