এসেছিলে নীরবে আমাদের দালানে।
পা ছড়িয়ে বসে,ছড়িয়ে দিয়েছিলে খোলা হাসি,
আলগা চুলের সুবাসে মিশেছিল তোমার শব্দরাশি।
সেই চুলের ছোঁয়াচে গন্ধে,ব্যর্থতা ভুলে বসন্ত আসে।
হাসির ঢেউ উদ্দাম প্রশান্তের নাবিক হওয়ার
ইশারা করে।
শব্দরাশির ব্যঞ্জনা কাহিনীকার হয়ে হারিয়ে যেতে বলে।
তবুও কাহিনীকার কাহিনী নয়,প্রেম লিখলো।
ভাঙা কলমে সেই মোহ, মহুয়ার সুগন্ধী ছড়িয়ে দিলো।
এই অলিন্দ মহানন্দে বিজ্ঞান ভুলে,সুনীলে মজে।
নব নালন্দায় রসায়ন নয়,রস সাহিত্যের গবেষণা চলে।
সব ভুলে পথিক অন্ধকারে পাড়ি দেয়-
সোনার চাবি বুঝি তমসায়।
আজ দালানে কাকের সাথে,
ফনী নিয়মিত আসর সাজে।
বদ্ধমূল অশ্বত্থ অলিন্দের নির্ভয় দারোয়ান,
বিশ্বস্ততার লালনে ব্যস্ত।
সেই খোলাচুল,হাসির মায়ায়
অসুখে দালান ঝরে পড়ে।
কলম আজও অনিশ্চিতে,
মায়াবী শব্দে কাব্য করে-
নিশ্চিত বিশ্বাসে।