বর্ষা, তোমাকে দিলাম আজকের ছবি।
তুমিই তো সেই চাঁদের আলো আর আমার ভোরের বেলার রবি।
রবির কিরণ টালির ছাদের ফাঁকে দাওয়ার ওপর আসল যখন ভেসে,
বুঝলাম তুমি দাঁড়িয়ে এখন আমার মেসের পাশে।
হাতমুখ টা ধুয়ে ভাবলাম …
প্রতিদিনই তো সৌদামিনী র সামনে দিয়েই যাচ্ছি,
আজ না হয় নাবাববাড়ির সামনে দিয়েই যাই…
আসলে ভাবতাম- চারদিকে ঘুরে ফিরে
একবার যদি তোমায় খুঁজে পাই।
Off class –এ ক্যান্টিন, আবার বেলার শেষে science city, deer park
আবার কখনো বা আইনক্স এর ভিতর,
মন খোঁজে সারাক্ষণ মনের মত মন।
বুঝলাম এবার তখন, মনের মাঝে তোমায় প্রয়োজন।
শূন্য মনে লুকিয়ে আছে শত হাজার আশা,
তারই মাঝে সবার আগে ঠাঁই দিলাম তোমার ভালবাসা।
কিন্তু সেদিন বড্ড একা আমি।
সে তো সবুজ বনের ছোট্ট পাখি, অজানা তার মন।
কেউ জানে না আমার বাসার – কে তার আপনজন…।
এমনি ভাবেই কাটছে দিন… এমন সময় ম্যাসেজ এল একদিন
-ইনবক্স এর পাতায়।
কী গো, কেমন আছ… চিনতে পারছ আমায় ?
-আরে অভি এসব বন্ধ কর -ভাল লাগছে না-বাড়ি এসেছি-
তাকিয়ে দেখ কটার ঘরে আছে ঘড়ির কাঁটা ?
-আর বলছি জানতে পারলি ওর ঠিকানাটা ?
-হম, বর্ষা, english department, vivekananda college, ফার্স্টইয়ার।
পেইং গেস্ট রঞ্জু দার দোকানের সামনের বাড়িটার।
-ok কাল তাহলে শ্রাবণী মেলা যাচ্ছি না,
রুমেই থাকব কলেজ থেকে ফিরে।
-তাহলে চল না কৃষ্ণসায়েরে ফুলের মেলায় একবার আসি ঘুরে।
পাঁচটা মিনিট তাকিয়ে ছিলাম ইনবক্স এর দিকে চেয়ে।
রিপ্লাই এল- কী হল যাবে না আমায় ফুলের মেলায় নিয়ে ?
মুখে শুধু একটু আওয়াজ করে বললাম- হম।
অভি র কাছেই পেলাম নম্বরটা …
কাল তাহলে ভোরের সূর্যোদয় দেখা হবেনা তোমার দিকে চেয়ে…
-কাল নয় – তবে দশ দিন – না দশ দিন নয় দশ হাজার দিন
সুযোগ দেবে সূর্যোদয় দেখার তোমার দিকে চেয়ে ?
রিপ্লাই এল- চাঁদের অনেক গভীরে গেছে রাত…
আজ তাহলে এই থাক।
এরপর কলেজে শেষে রানিসায়ের, কৃষ্ণসায়ের
আর কলেজের সামনে শ্যামসায়ের এই নিয়েই কাটল কটা দিন।
কিন্তু laboratory আর r.c. sir এর topology- এসবের মাঝে থেকে
স্বপ্ন টাকে রাখতে পারলাম না খুব বেশিদিন।
কিন্তু আমার স্বপ্ন জলধারায় আজও তুমি রিমঝিম সুরে…
বর্ষা, তুমি আজও আছ আমার হৃদয় এর canvas জুড়ে।।