নুপূরের মৃদু শব্ধ শোনা গেলো ।
বাতাসের মাধুর্য্য কে শরীরের গন্ধের সাথে মিশিয়ে নিতে পারলেও,
শব্ধটি কানে আসতে না পারায় তিক্ত স্বরের অভ্যাসবশত হয়ে পরলাম ।
এলোচুলের ঢেউটি মনের মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে চাইেলও ,
কঙ্কন পরা হাত দুটি, সামনের কিছুর আকর্ষনে এগিয়ে যেতে থাকলো ।
মনের মানুষটির সাথে একটি সন্ধি করতে চাইলাম ,
ঝগড়াটা যেন মানানসই করে নিতে পারলাম না ।
কপালের মধ্যে সূর্যাস্তগামী চক্রাকার দৃশ্য যেন বহুবার দেখেছি,
কিন্তু এই দৃশ্য যেন বাচ্চার ঠাকুরমার ঝুলি গ্রাস করার মতোই মনে হতে লাগলো ।
অতীতের পাতা গুলি সব ভর্তি করে ফেলেছি ,
বুঝলাম তালপাতা খোঁজার দিন আসছে ,
শেষ দৃষ্টি সেই লাল মোরোকে ঘেরা সাদা ধূসর প্রান্তে ,
মনকে বিন্দুতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম,
তবেই যে “বিন্দুতে সিন্ধু দর্শনের সার্থকতা ” ।
মনকে উতলা করে ছেড়ে দিতে চাইলাম,
গ্লানিমুক্ত ফুল দেখতে পেলাম ।
~ পরমা ~