ভাবতে অবাক লাগে, artificiality আজ laughing club এর সৌজন্যে হাসিতেও হস্তক্ষেপ করেছে। হাসতে গেলেও আজকাল মানুষের প্রশিক্ষণ এর দরকার হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে হাস্যকর। আসলে রসিকতা বস্তু টি বিশ্বায়নের ফাঁদে পরে সব ক্ষেত্র থেকেই বিলুপ্ত হয়েছে। আজকাল সাহিত্যের মাঝে চটুল হাস্যরসের অতিনিপুন প্রয়োগ লক্ষ করা যায় না।
রাস্তা ঘাটে কিছু সান্ধ্য আড্ডায় রসিকতা চলে বটে, তবে সে রসিকতা হাস্যরসের মোড়কে চরম অশ্লীলতা। TV এর সামনে বসেও প্রান ভরে হাসা যায় না, কারন ৬ টা – ৯ টার daily shop এ শুধুই পারিবারিক কুটিলতা আর বিরহের অতিরঞ্জিত কাহিনী, মাঝে মাঝে sound effects এর জাকজমক এর দ্বারা জোর করে দর্শকদের দন্তবিকাশ ঘটানোর চেষ্টা রসিকতা নয় director এর বোকামি বলে মনে হয়।
আমরা হাসতে ও হাসাতে ভুলে গেছি। রসিকতা আজ ইতিহাস হয়ে গেছে, রয়ে গেছে শুধু পেশাদারিত্ব, যা হাসিকেও করে তুলেছে কৃত্রিম। আর তার ফলে আমরা ঠিক রামগরুড়ের ছানাও হয়ে উঠতে পারিনি, কারন আমাদের হাসা নিষিদ্ধ নয় কষ্টসাধ্য।