তখন রাত ১২ টা
এক অব্যক্ত গোঙানিতে কেঁদে উঠলো মেয়েটি
কে বলে নারী অবলা ?
অস্পষ্ট বাংমইয়তা ভরিয়ে তোলে নিশুতি রাতের নিস্তব্ধতা
শব্দের তরবারি খানখান করে দেয় অমানিশির সেই ভয়াবহতা
কে সে ? এক নারী ! সবলা !
অসহনীয় সেই যন্ত্রণা তবু সে পেতে চায় বারবার !
সব রাত্রিরও অবসান আছে !
অবশেষে ভূমিষ্ঠ হলো এক প্রাণ !
সেই প্রাণ যার বীজ বপন করেছিল তার শরীরে কযেক জন নরপশু !
যৌবন-মদ মত্ত নারী কি কখনো ভেবেছিল
লালসার উন্মত্ত রণ ক্ষেত্রে সে এক সামান্য সৈনিক !
রণ -ক্লান্ত আহত সে চেষ্টা তো করেছিল !
না সে পারেনি সম্ভ্রম বাঁচাতে
নখ-দন্তের তরবারি ব্যর্থ হয়েছিল শিশ্নের বেয়নেটের কাছে
কামনার বিকি-কিনির বাজারে সে এক সুলভ পণ্য
বহু-বার হাত বদল হল তার
এক তাড়া নোট এর মতন !
নারীর সম্ভ্রমে পুরুষের কি যায় আসে ?
নারীর সম্ভ্রম তো তার কাছে এক শব্দ-বন্ধ বৈ কিছু তো নয় !
সে তো চায় অপরিসীম ভোগের তৃপ্তি !
নারী এবারেও ব্যর্থ হলো !
কেড়ে নিয়ে গেল তারা ! সেই প্রাণ !
এটা যে অভিশাপ !
জননীর হাহাকারে সমাজের কি যায় আসে ?
নারী কি কেবলি ব্যর্থতারই এক মূর্ত প্রতীক ?
শান্তির শুভ্র পারাবত তো তার জন্য কেউ উড়ায় না !
তার জন্য বরাদ্দ কি কেবল অভিশাপের কালো করাল আঁধার ?
জন্ম যে মৃত্যুরই নামান্তর !
সে এক বিভীষিকা !
এক ভয়াবহ অভিশাপ !