হয়তো সময়ের কারণে বেশি কিছু লিখতে পারব না তাও একটু লেখার চেষ্টা করব তোমার কথা মনে করে।জানোই তো তোমাকে নিয়ে আমার সব কিছু। আজ শেষ অব্দি যদি তুমি আমার পাশে না থাকো তাহলে আমি কাকে নিয়ে লিখব আমার এ মনের কথা। হোক না আরেকবার ভাল কিছু মেনে নেওয়ার কথা। আজ  আর তোমাকে জোর করব না শুধু আমি বলে যাব  তুমি শুনবে।

লিখছিলাম ফেলে আসা দিনগুলোর কথা যেখান থেকে আমার উদগীরণ। আজ ভাবতে অবাক লাগে অনেকদিন পর তোমার কথা মনে পড়ল কারণ তুমি আমাকে শিখিয়ে ছিলে নতুন পথের আলো হয়ে কিভাবে চলতে হয় অন্ধকারের জোনাকিদের মত করে। আমি আমার সবটুকু দিয়ে আবার নতুনভাবে বাঁচতে চাই তোমাকে পাওয়ার আশায় ভেবো না আবার তোমাকে ভালোবাসবো,এ শুধু আমার মনের কথা কিন্তু বাস্তবে তার ভিন্ন টা।

আমি তো আমার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম ভাবছিলাম আজ বোধ হয় আমার শেষ দিনটায় হবে।কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তুমি আমার সামনে হাজির এক দেবদূত হয়। ভেবো না এতে করে আমি তোমাকে প্রশংসার কথা শোনাচ্ছি।আমার মনের জল্পনা কল্পনা কিছু বলতে পারলে যেন আমার শান্তি। আমাকে এভাবে এ পথে না নিয়ে আসলেও পারতে তোমার কি দায় ছিল, আমিতো নির্বোধ নিরুপায় নিরঙ্কুশ একটা ছেলে। আজ তো সবশেষ করে দিতাম নতুন করে বাঁচার আলো দেখানোর কি দরকার ছিল তোমার ?

আজ হঠাৎ করে প্রশ্নটা তোমাকে ছুঁড়ে দিলাম উত্তরটা তুমি দিও না হয়।

সবেমাত্র স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠবো এমন একটা ভাব। ঠিক তখনই ঘটে গেল কেমন যেন এক বিপত্তি। আজ ভাবি এটা কি হওয়ার ছিল নাকি শুধুই স্বপ্ন। বেপরোয়া ছেলে কোথায় যাচ্ছে কি করছে তার অদ্যপান্ত কোন খবর নাই। আর কে রাখবে তার খবর কে আছে তার সাথে তার মা না আছে তার বড় বোন আছে ভাই নামমাত্র শুধু একটা বাবা। বাবা তার কর্মযজ্ঞ শেষ করে বাসায় ফিরবে নাকি ছেলের খোঁজ নিবে। এভাবে তো চলছে নৈপথ্য রুটিন বাবা ছেলের গল্প।

ছুটির দিন বলে কথা আজও কি তোমাকে ফজরের আজানে উঠতে হবে ঠিকই এমন টা তো প্রতিদিনই হওয়ার কথা ছিল না বাবা তোমার সাথে আমার। বাবা ছেলেকে দেওয়া কথা কি আর বলবে ভেবে পাচ্ছেনা ধর্মের কথা নিষ্ফল কি আর করা যায়, না তার তো প্রশ্নই আসে না ধর্মের কথা সে কি আর ফেলা যায়। আমি তোর আমার রুটিনে চলিনা চলি তার রুটিনে যে আমাকে সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন তোমাকে। থাক সে দিকে আর না যাই  তুমি বরং ছোট মানুষ ছোট কথাতেই মুগ্ধ  থাকো। বাবা উঠ  তাড়াতাড়ি আসো তোমাকে আমার সাথে যেতে হবে আজ না করো না। আজ ছুটির দিনে কোন বায়না চলবে না।

হরহামেশা প্রতি সপ্তাহের রুটিন বললেই চলে। আর এমনটা না হয়ে কি উপায় আছে এত বাপ ছেলের কান্ড। তারা না হয় তাদেরকে নিয়ে থাকুক আমি বরং একটু ঘুরে আসি।

জীবনটা রীতিমতো ভালোই কাটছিল কিন্তু হঠাৎ কি যেন হয়ে গেল নিজে বুঝতে পারলাম না। ঠিক  এমন পরিবেশে কারো সঙ্গে দরকার ছিল আমার। রীতিমতো পেয়ে গেলাম পাড়ার বন্ধু-বান্ধবদের তাড়াতাড়ি,  হাত বাড়ালেই তাদেরকে পেয়ে যেতাম যখন যেখানে যে কোন সময়। এর নামই বোধ হয়  বন্ধু এমন কথাটাই বলতে সবাই। বাবা মাঝে মাঝে বলতো দেখ আমার পুত্র  সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আমি আর ছোট মাথায় অত কিছু বুঝতাম না বাবা এগুলা কি বলে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস শেষ পর্যন্ত বাবার কথায় ফলে গেল, আর আমি তো আমার মতই।

দিন কাল বেস ভালোই কাটছিল নতুন বন্ধুদের নিয়ে, যত্তসব বিপত্তি ঘটলো বে পথে গিয়ে।

আজ যদি বাবার কথা শুনতাম  তাহলে বোধহয় এমন টা হতো না।

এ সময় তুমি এসে আমাকে বাঁচিয়ে দিলে আত্মহত্যার মতো জঘন্য অপরাধ থেকে।

আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। নিজেকে শোধরানোর একটা সুযোগ পেয়েছি। এখন আবার নতুন করে আমি আমার জীবনকে শুরু করতে চাই।

আর এই সময় তোমাকে আমার পাশে চাই।

Print Friendly, PDF & Email
Previous articleকথামালা
Next articleবিনি সুতার মালা
2.5 2 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments