সাঁতরায়, ডুবে যায়, ভেসে ওঠে।
মানুষ ফুটে হয় ফুল,
ফুল ছিড়ে যায় দুটো মানুষে।
এরপর পথ হাটা পাশাপাশি,
সমান্তরাল।
কখনো মেলে না, কখনো মেশে না। তারপর, একা হাটা, রক্তের গন্ধে,
হাড়, মাংস, পাঁজরের ওজন নিয়ে অছিলায়।

এতো কিছুর পরেও
কিছুই দেওয়ার থাকবে না, জানি।
তবু ক্ষয়াটে দুটো হাত বাড়াবো,
এক আকাশ ধূসর ইচ্ছে ছুঁতে।
জড়িয়ে ধরতে,
চাওয়া পাওয়া নির্বিশেষে।
কোন্ আশায় আবারো ফিরে যাবো
তোমায় ..
তোমার নখে, দাঁতে, বিষে,
শেষ শ্বাসটুকুর জন্য, তীব্র আশ্লেষে। নির্বাসনের পরেও যদি ফিরে আসা যায়, জেনো, সব ভাঙনের পরেও দুটো প্রাণ বাঁচতে চায়, বাঁধতে চায়,
তার অতল জলে ডুবে নতুন হয়ে ভেসে উঠতে চায়, অধীর অপেক্ষায়।

অতটুকু ধৈর্য রেখো।
রেখো নিদাঘের পিপাসা,
রেখো করুণার আশিষ।
জেনো বারে বারে প্রতি যুদ্ধের শেষে আমরা ফিরে ফিরে আসি।
জেনো মৃত্যু শেষ কথা নয়,
জেনো, না পারার যন্ত্রনার চেয়েও
বড় আদরের এই অনুভূতি;
এই চাওয়া,
এই শেষ প্রেমটুকুর আকুতি।
সাত সাগরের ব্যাপতি জানা নেই,
জানা নেই তেরো নদীর দূরত্বও,
মাপামাপি পেরিয়েও তবু থেকে যাবে একটাই ঠিকানা।

এতো পথ পারি দিয়ে বাড়ি ফেরা হবে কি না ঠিক নেই..
তবু, তুমি থেকো।
থেকো না থাকায়, না পাওয়ায়,
থেকো আকাঙ্খায়, অমর অপেক্ষায়।
অন্তিম অবকাশে ধ্রুবতারা যেন তোমার দিকেই চায়।

Print Friendly, PDF & Email
Previous articleঅপেক্ষায় আছি…
Next articleপ্রতিটি দিন একটি উপন্যাস
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments