ক্লান্ত পথিক আমি হেঁটে চলেছি সুদীর্ঘ পথ …
হেঁটেই চলেছি… খুঁজে চলেছি বটবৃক্ষের পত্ররাশি
তলায় বসে জিরিয়ে নেব প্রাণ ।
টলটলে সরোবরের সোপান পেরিয়ে,
তৃষিত খরা-সম ওষ্ঠদ্বয় ভিজিয়ে নেব
স্নিগ্ধ সুশীতল জলের ছোঁয়ায়।
দিকভ্রান্ত আমি দেখা পায়নি এখনো
সাঁঝের আকাশের নির্মল সন্ধ্যাতারা।
শুনতে পাইনি এখনও
সন্ধ্যামালতীর গুনগুন করে গেয়ে ওঠা কলি।
কেবলি করুণ রবাব-এর তানে মুখরিত
দুই চাতক চাতকী….
রক্তক্ষরা পাদুটি মাটির টানে মিশে যেতে চায়
কখন আসবে সেই শুভক্ষন?
শুধু কিছু ফুল গুমরে কাঁদে অঞ্জলি বদ্ধ হয়ে,
বিনি সুতার মালা গেঁথে –
সাজাবো তোমায় আমি ,
‘হে নন্দকিশোর’
আজি প্রভাতের সুমধুর বাঁশির সুরে সুরে।