আজ চতুর্থী। মা তার রুপের আগমনে অপেক্ষায় করেছে আরও একটি বর্ষ পার। অবশেষে শত শত ঘড়ির সময় পারিয়ে আবারো নতুন করে ভালোলাগা ভালোবাসা। ব্যস্ততার আলিজ্ঞনকে এক নিমেসে ঝেড়ে ফেলে বেরিয়ে আসার সেই সময় যেন উপস্তিত।
বলা হয় মহালয়া তিথি তে নাকি দেবি পক্ষএর শুরু হয়ে গিয়েছে। দেবি পক্ষ কে সাথে নিয়ে পেরিয়ে এসে আজ মার ঘরে পঞ্চম দিন।
আমরা সবাই শুনেছি বাংালির নাকি ‘বারো মাসে তেরো পারবন’। ওই তেরোর মাঝে বাঙালির আবেগ মাখানো অনুভুতি গুলো যেন সব এই পারবনের জন্যেই তোলা থাকে। সারা বছরের পরিশ্রমী মানুশ যারা দিনের শেসে ক্লান্ত হয়ে ওঠে তারাও যেন ক্লান্তি ভুলে নেমে পরেছে পঞ্চমির জনসুমুদ্রে।
এতো মানুষএর ভির,সবার ভালো লাগা যেন দিন দিন সিমা ছাড়িয়ে বেরেই চলেছে।সেই দন্দ নিয়েই আজ লড়াই তে নেমেছে নর্থ সাউথ থেকে শুরু করে থিম বনিদি।
আমরা আজ নর্থ এর পরিক্রমায় আগত কিছু বিশেষ বিশেষ মন্দপ নিয়ে। যে গুলির মধ্যে প্রথম হয়েছে কাশী বস লেন। প্রতি বছর তারা তাদের প্রতিভা দিয়ে জিতে নেয় তাদের সেরার শিরপা। তারা যে থিম পুজোয় বিশ্বাসী তা একেবার ই নয়। তাদের কাছে মানুশের ভাললাগা আকরসন কিসে তার অপর। তাই প্রতি বার ই তারা চেষ্টা করে নতুন কিছুর আবিষ্কারএর। ঠিক এই ভাবনা থেকেই এবার তারা এনেছে ‘আবহ সংগিত’ এটিই তাদের এবারের থিম।
শিল্পি প্রদিপ বাবুকে এই ভাবনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন সংগিত এমন একটি বিসয় যা নিমেষে মনকে ভালো করে দেয়। কেউ কষ্টে থাকুক বা সুখএ সবেতেই যেন আমাদের মন কে আবেগে ভাসায় এই সংগিত। আবেগের যেন মিলন স্থল এটি। তাই হারিয়ে যাওয়া সমস্ত বাদ্য যন্ত্র বা আমাদের পরিচিত অপরিচিত সব নিয়ে তইরি এই পুজা মন্দপ। বাইরে নানান বাদ্য যন্ত্র থেকে শুরু করে একে একে ভিতরে আর কিছু সব গিয়ে মিশেছে মায়ের কাছে সেখানে দেখলে যেন মনে হয় মার সামনে এক রকম সংগিতা অনুষ্ঠান এর আয়জন করা হয়েছে। নর্থ এর এই বিখ্যাত মন্দপ টিকে আপনি আপনার পুজা হপিং এর মধ্যে রাখতেই পারেন। সাথে থাকবে হেদুয়া পার্ক, কলেজ স্কয়ার, মহম্মদ আলি পার্ক, সন্তোষ মিত্র স্কয়ার, কুমার টুলি পার্ক, জগত মুখার্জি পার্ক, বাগবাজার সার্বজনীন, টালা পার্ক।