তমসা !
যদি এমনই হয় তার নামের ভাষা!
হোকনা আমার আন্দাজের আশা!
সত্যি কি পারেনা হতে,
কে ই বা জানে অন্তর আকাশের ছোট্ট ছোট্ট আশা!
জানিনা কেমন করে ভোরের আলো ছোঁয় তাকে,
জানিনা কেমন করে সে ভিজিয়ে নেয় বৃষ্টিটাকে!
জানিনা কেমন করে দোলে বিকেল বাগান
ওর ফুলের গন্ধে,
জানিনা কেমন করে নিভিয়ে নেয় আলো,
নামছে বোলে সন্ধ্যে।
কেও যেন দেখেনি ওর পিছন ঘুরে তাকানো,
আমি যেন ভেবেছি ওর ফেরার রাস্তাটা বাঁকানো।
কেও যেন দেখেনি ওকে লাল টুকটুকে ফ্রকের আদলে,
কেও যেন ঢেকেছে ওকে রঙবেরঙের আঁচলে।
ওরা হয়তো বড় মাপের
কোনও অসাধারনের ছবি নিয়ে করে কাড়াকাড়ি,
আমি তো সাধারণ বড়,
তাই ঢের বেশি সাধারণ তার খুঁজি কোথায় বাড়ি।
বল না কোন পাহারের খাঁজে,
কোন নদীর ধারে,
লুকিয়ে আছিস তুই!
আড়ালে রাখিস আপনারে!
ওরা হয়তো জানেনা,
আর আমি হয়তো অসহায়!
ওরা হয়তো চায়না,
আর আমি হয়তো নিরুপায়!
‘তুমি’ যে বাঁচেনা ‘তার’ জন্য,
‘সে’ যে বাঁচেনা ‘ওর’ জন্য,
‘জীবন’ বলে, ‘আমি সবার জন্য’,
‘আমি’ বলে, ‘ও যে অন্য’!
বাঁচছে সবাই ‘আমি’_র জন্য!
উপচে পড়ছে বুদ্ধিমত্তা,
আপনারে কুড়ুল কেন মারো?
কার ভাবনায় এত চঞ্চলতা!
তমসা !
তোকে দেখা আমার অন্য মনের পরিচয়,
তমসা !
তোকে ভাবা আমার ব্যস্ত সময়ের অপচয়।
নিজেকে ভাবো, নিজেকে গড়,
ভেবোনা কারো কথা এবেলায়।
প্রয়োজন কখনো পরে যদি,
ডেকে নিও ওকে কোনও শক্ত কাজের খেলায়!
কত তমসা দেখি, কত তমসা হারায়,
কত তমসা তমসার কালোতে মিলিয়ে যায়।
ছোট্ট তমসা_রা রাস্তার ধারে
হারিয়ে ফেলে শৈশব মাননীয়দের ভিড়ে।
দুষ্টু মিষ্টি খেলা,
তমসার চোখে থমকে দাঁড়িয়ে।
কাটছে সকাল বিকেল রেশ,
ডাকছে শৈশব,
আর যাচ্ছে এড়িয়ে!