বিদ্যাবতী সরস্বতী থাকেন অনেক দূরে,
তাঁরে পাওয়া নয়কো সহজ–ঘাড় ভাঙে যে পড়ে।
আর মা লক্ষ্মীর নিবাস মোদের ঠাকুর ঘরের মাঝে,
তাঁর স্থাপনা দেবীঘটে সকল পূজার কাজে।
সবেতে তাঁর নামটি করি–রাখতে তাঁরে তুষ্ট,
রুষ্ট হলেই কষ্ট করাল–বলে দিলেম স্পষ্ট।
সরস্বতীর আরাধনা করেও প্রতিদিন,
তার নাগাল পায় কজনা–এক দুই কি তিন !
আর মা লক্ষ্মীর আরাধনা শুধুই বিষুতবারে,
তাতেই তিনি খুশী হয়ে দেন দুহাত ভরে।
সরস্বতীর সাধনাতেও আসতে পারেন তিনি,
লক্ষ্মীমায়ের নেই অহং–মনে সোনার খনি।
কিন্তু সরস্বতীর বড়ই গুমোর–মেজাজ ভারী চড়া,
অন্য কোন দেবীর পূজায় তাঁর ভরে না ঘড়া।
তাঁকে বোধ হয় তুষ্ট করা শিবেরও অসাধ্য,
কিন্তু মা লক্ষ্মী–আমরা সবাই তাঁর যে অতি বাধ্য।
তাই সব বিষয়ে তিনিই আসেন–সক্কলে হই লক্ষ্মী,
সরস্বতী–তাঁকে পাওয়া সত্যি বড় ঝক্কি।