ভাঙ্গা গড়ার এক অদ্ভুত খেলায়
মজেছি আমরা দুজনে বলো ।
একবার তুমি ভাঙ্গছ ঘরের আয়না
আমি ভাঙছি মান-অভিমানে ভরা তোমার খেয়া ঘর।
একবার তুমি ভাঙ্গছ কাঁচের গ্লাস
হাতের চুড়ি, প্লেট-বাসন ।
আমি ভাঙছি তোমার যত্নে বাঁধানো খোঁপা,
ভ্রূদ্বয়ের মাঝের টিপ, চোখের কাজল।
শুধু ভাঙ্গতে পারিনি,
তুমি আর তোমার ছায়ার মধ্যবর্তী দুরত্ব।
কতোবার তোমাকে ভাবতে ভাবতে আমি
আলিঙ্গনে জড়িয়েছি তোমার ছায়াকে।
কতোবার তোমার ছায়া খুঁজতে খুঁজতে
আমি অতলে নিমজ্জিত হয়েছি
তোমার দুই তারারন্ধ্রে।
শতকন্ঠী এ প্রেম বীজমন্ত্রের মতো
বারবার প্রতিধ্বনিত হয়েছে আমার
হৃদয়ের উপকন্ঠে। মুক্তি পেতে চেয়েছে
এই নৈশব্দ-নিস্তব্ধতার খাঁচা থেকে।
জানি আমি-
যদিও আমি পারিনি , তুমি আর তোমার
ছায়ার মধ্যবর্তী দূরত্ব ভাঙ্গতে।
তুমি কি পারবে এই নিস্তব্ধতা
নৈশব্দ-নীরবতার ঘোর ভাঙ্গতে;
এই শতকন্ঠী বীজমন্ত্রকে মুক্ত করতে;
তুমি কি পারবে ? তুমি কি পারবে
জানি না ! আপাতত তো না !