পরিবারের অপমানগ্লানি, লাঞ্ছনা, র সমাপ্তি
আজ আমি মেডিকেল কলেজ র ছাত্রী,
এক নিজস্ব জ্বালা থেকে মুক্ত আজ
সুদীর্ঘ অপেক্ষার পর দুপাটি দাঁতের উন্মোচনা
আজ আমের মুখে গর্ব র সাথে বিরাজ করছে,
১০ টা বাজতে যায়, ‘অদ্রিজা’ উঠে পর মা,
একরাশ সাময়িক মন খারাপের সাথে ভাবলাম
কাস এটা সত্যি হত!!!!!
২ বছর পুর্বের ভুল সংশোধন র তাগিদে,
‘হিমেল ‘র পুনরাগমন
এতদিন র জমে থাকা আবেগ কে,
বাস্তব রুপ দেওয়া এখন হাতের মুঠোয়
মৃত্যুসজ্জায় সজ্জিত মন জলের সন্ধান পেল,
চোখে জল, সাথে মা র বিকট আওয়াজ,,
আজ ও লেট????, উঠ পাগলি!!
কিছুটা বিরক্তিময় শব্দ মাকে উপহার দিয়ে,
বিছানা ছাড়লাম।
পরীক্ষা ভালো হওয়ার হাসির সাথে,
আমি বাড়ির পথে,
লোডসেডিং,অন্ধকার পথ,
সাথে ভয় না পাওয়ার জেদ আর মানসিকতা,
ভালোবাসার প্রস্তাবে ফিরিয়ে দেওয়া কয়েক চেনা মুখ।
জ্বলে যেতে লাগল মুখ,হাত,শরীর,
সহ্যের সীমা অতিক্রম করতেই
একবার মুখ দিয়ে বার হল,,”মা”,পারছি না!!
আজ মা র সেই বিকট আওয়াজ র জন্য,
প্রতিটা সেকেন্দ গুনতে গুনতে আমি ক্লান্ত,
১০ টার অনেক আগেই উঠে গিয়েছি
মমির মত সাদা সুতোর প্রতিফলন আমার শরীরে।
ভারসাম্য বজায় র দরুন বলতে বাধ্য হলাম,
সত্যি টা যদি সপ্ন হত!!!
আজ ও চোখ খুল্লাম
তবে বাড়ি নয়,
ই.ম বাইপাস র নিকট,
পিয়ারলেস
সারা শরীরের গলন্ত কোশ আর
জলন্ত চোখের সাক্ষী রইল
বেড নং -১০৯।।