শোন আফরোজ, তুমি আমাকে আর ককখনো বলতে এসোনা যে
তুমি ভাল নেই
তোমার খুব খারাপ ঠেকে!
হ্যা। আর একবারও বলতে এসোনা যে
ঢেমনা লোকটার ইতর কীত্তি কলাপের নিরন্তর জল কামানের গোলায়
আর পেপার স্প্রের চোটে
সহ—অবস্থানের সব সম্ভাবনা গুলো তোমার ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে!
এসব কুলক্ষুনে, কুলভাঙার সাঁা, সাঁ শব্দে আমার
হ্রদয়ের নরম ডোয়াগুলো থেকে মাটি খসে খসে পড়ে
তুমি তো খুব ভাল করেই জান, তুমি বিনে আমার মাটির ডোয়া
লেপাপেঁাচা করার কেউ এখনো নেই
আগেও ছিলনা।
আর কোশচিন কালেও আমাকে যেন বলতে এসোনা তুমি
ঝড়টা মনে হয় থামার জন্য উঠেনি, শান্তনু!
ঘরটা এবার মনে হয় ভেঙেই গেল, গো!
হ্যা। কোনভাবেই যেন বলতে এসোনা তুমি
শীঘ্রই হয়ত
সংসার নামক রস জ¦ালানোর বাইনের গরম বলগের ভেতর থেকে
ব্যাঙ লাফ মেরে বাঁচতে চাইবে তুমি
এক কাপড়ে বেরিয়ে পড়তে হবে তোমায়!
খালি হাতে! খালি পায়ে!
শীঘ্রই হয়তো
পথের ভিখেরি হতে হবে তোমায়!
এসব সব্বনাশে কথা বলতেই এসোনা তুমি
তোমার নিঃস্ব হওয়ার পূর্বাভাসে আমার জান খাচা ছাড়া হয়ে যায়
ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যায় আমার চোখ—মুখ
তুমি তো সবই জান, কোন সাইক্লোনেই
তুমি বিনা আমার কোনই আশ্রয় কেন্দ্র ছিল না
আজও নেই।
ভুল করেও যেন শুনাতে এসোনা আমাকে
ভীষণ বন্দির মত লাগে তোমার !
মনে হয় তুমি কয়েদি একটা, হাজতী একটা!
হ্যা। বলতে এসোনা কোন দিন আমায়
তুমি বগা একটা, গলা দিয়েছ ফাঁন্দে।
দোহায় তোমার, তুমি তো জান
শিকারীর জাল কেঁটে তোমার ডানা ছাড়াবার মুরোদ
আমার আগেও ছিল না
আজও নেই।
তবে পার যদি বলতে এসো, আফরোজ
ঘটা করে শোনাতে এসো একদিন
বহুদিন
শুধু এই কথাটি—
“শোন, শান্তনু, তোমাকে ছাড়াই আমি বেশ আছি।”
তাহলেই কেবল আমি
মরিয়াও
বাঁচিয়া যাইবো।