শতাব্দী হয়েছিল প্রাচীন।
একঝাঁক সাদা বক সেদিন
রঙিন গোলাপি-কমলা আকাশে পাড়ি জমিয়েছিল ,
সুদূর অমরার উদ্দেশ্যে।
উদ্দামতার কিছু মুহূর্তে ,
জনস্রোতের বিপ্রতীপ আতরে ও
পারিজাতের ফুটন্ত নেশার আদরে
একটা ফড়িং মানুষকে ভেবেছিল উলঙ্গ,
আগুণকে ভেবেছিল নিস্তব্ধ,নিথর,
“ধর্ম ও জিরাফ“-কে দেখেছিল অভিন্ন সত্তায়।
আর ,
ছেলেটা প্রেমে পড়েছিল।
সম্ভব ,
তবু সে এগোতে পারল না।
তারাগোনা রাতের দুঃখ কেউ জানে না,
কেউ বা জেনেও ঠাট্টা করে,
অবজ্ঞায় পড়ে থাকে ভিক্ষাপাত্র।
ধূসর কৌমার্য ,ফিকে বসন্তের কালাশৌচ পালনে
ক্লান্ত , দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এক প্রাণ ,
ফেরাতে চেয়েছিল
উপেক্ষার লক্ষ মাধুকরীর দান।
তবু ফেরাতে পারেনি সেই পদ্মপাতার প্রার্থনা,
একবিন্দু শিশির ,
আর সবুজ হয়ে ওঠার উন্মাদনা।
তবুও ওথেলো ভাবে,
“এক ফোঁটা রক্ত কি কোথাও লেগে আছে?”
জানি, আছে,
মুছে যাবে হাজার শতাব্দী,
তবু রক্তের দাগ অমলিন ,
সেই দাগে আছে প্রথম বসন্তের ঘ্রাণ।