হে বিশ্ব কবি –
দিগন্ত থেকে শুনেছি তোমার বার্তা ।
তুমি এসেছিলে
ঐ পূব দিগন্ত থেকে
আলোক ঝরনা ধারা নিয়ে
তপোবনে তপন স্নিগ্ধ মরুচ্ছাস,
ওহে রবীন্দ্রনাথ ।
বৈশাখে নব রবি
উঠেছিলে পূবে
সোনালী কিরন ধরে
নেমে ছিলে জোড়াসাকোয়
ঠাকুর পরিবারে ;
সারদা মায়ের কোল থেকে নেমে
এসেছো বঙ্গ মায়ের স্নেহাচলে
সাজিয়েছো তারে নূতন সাজে
“রূপসী” কখনো “সোনার বাংলা” রূপে ।
আলোক ছ্টা স্বর্নমালা
আলোক রজনী
ফোটাও খুশি পূবাচলে
অন্ধকারের গ্লানী,
তন্দ্রাচ্ছন্ন বিশ্ববাসী
উঠলো জেগে জেগে
ধরলো জেঁকে দিবস ছ্টা
মনে প্রানে জেঁকে ,
উষার হাসি খিল খিলিয়ে
জাগায় মনে ছবি
জানালা ধারে উদাস মনে
কলম ধরে কবি ।
ভাবের ঢেউয়ে জোয়ার আসে
কবির কলম ‘পরে
রঙ বেরঙের আলোক ছ্টা
কবির অঙ্ক কষে
পূবাচলে আবির মেখে
অমোঘ দ্যুতি কবি
“সোনার তরী” বাঁধছে বসে
ওযে ছোট্ট রবি ।
ওহে রবীন্দ্র –
তোমার লেখনী ঝরনা ধারায়
ফুটেছে কুসুম কবিতালয় ,
তোমার কবিতা তোমার লেখা
অমৃত প্রানে প্রেমে গাঁথা ,
তোমার সুরে সুরেলী স্নেহা
তোমার পরশে মোদের কায়া ,
কবিতার সেরা কবিতা লেখো
গল্পের সেরা গল্প
এথায় কতো ফোটাও ছবি
ফোটাও মধুর কল্প ।
তোমার গৌরব যশ
বাড়াতে আমরা হব নিরলস
এ প্রতিঞ্জা তোমার চরনে
তোমার মহিমা তোমার কৃতি
তোমার ই গরিমা হয়ে রবে গীতি
সকল হৃদয়ে জীবনে-মরনে ।।