সারাদিনশিশির ভেজা ঘাসে, হালকা সূর্যের আভা মেখে
দিন শুরুর গন্ধ।
তবু,
দূরে ট্রেন ছেড়ে দেবার বিষণ্ণ শব্দ
করে দেয় আমাকে স্তব্ধ,
ভাবায় আমার শহর ছেড়ে চলে যাবার,
তোমার টিকিট টা যেনো কবের?

দুপুরে কলেজ, অফিসের ভিড়শূন্য রাস্তা,
নিয়ে আসে অতি লোভনীয়,
এক চিলতে বিশ্রামের সুযোগ।
গলির মোড়ের ভিখারিটাকে বড্ড দাম্ভিক দেখায়!
বসে তার পাশে,
কয়েন গুলোতে খুঁজি
তোমারই হাতের সৌরভ!

সূর্যাস্তের কমলার পর,
সন্ধ্যের আকাশ মাখে নীলচে – বেগুনিতে।
গভীর কালো নদীর নিচে,
জমে থাকা প্রশ্ন গুলো
উঠে এসে দাঁড়ায় সামনে,
এখনো কেন বলিনি সবকিছু
তোমাকে!

তখন মধ্য- রাত্রের প্রহর,
লাইট পোস্টের আলো স্তিমিত,
ঘুমোবার সীমাহীন গ্লানিতে
সমগ্র দুনিয়া পরাভূত।
ঘড়ির কাঁটা যেনো বড্ড দ্রুত!
নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে ভরাট করে দেয় সিমেন্টে,
তোমার আমার সেই এক টুকরো
কমলা জানালা,
গড়ে দেয় দেওয়াল! এই জন্মের মতো
অন্তত!

Print Friendly, PDF & Email
Previous articleমাখা সন্দেশ
Next articleএকটি অদ্ভুতুড়ে গুল্প
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments