#১ সাগরের ডাকবাক্স
চিঠিগুলি আসে যায়
কিছু কিছু দূরে ভেসে রয়-
দৃশ্য়পটে।
তবে
কিছু কিছু ফিরে আসে বটে তটে।
কেউ বা মিলিয়ে যায়
দূরে, বহূদূরে-
সে কোনো এক অদৃশ্য় বাঁকে।
এতো চিঠি, শত চিঠি
কোনটা যে ধরি?
এককোনে বসে
কোনটা যে পড়ি-
একমনে?
ক্ষয়ে যাওয়া ভূমে,
হলুদে সাদা বালুর আকর্ষণভেদে-
ঝাউবীথি জেগে ওঠে।
আর
আদিম আদিবাসীনির বনজ ঘ্রাণ শুঁকে
দামাল মাদলে
দিগন্ত ছুঁতে যায়।
#২ জানা- অজানা
দৃশ্য় খোঁজে ফেরে অদৃশ্য়েরে-
বোধ হতে বোধীহীনতায়।
বোঝা- অবুঝের ফাঁক কতটুকু?
জানি কি,
দেহ মানে কি বিদেহীতার?
বাস্তব,
স্বপ্নের পাড়ে রেখেছে-
কি পরাবাস্তবতার?
পঞ্চভূতে সুখ- অসুখ-
পঞ্চভূতে লয়।
প্রলয় অভিযান শেষে
পদ্মপাত্রে বারিবিন্দুসঞ্চয়।
***
#৩ ভারত দর্শন
ঘুরে ফিরে আসি যাই
কদাচিৎ সেই ছায়ামাখা ঠিকানায়-
নবরসে আহ্লাদিতের
আমোদী পোষাকী ব্য়ন্জনায়।
অমৃতি অমৃতি নিয়ে
সে যেনো মায়ামধুর প্রাপ্তি।
জলছাপে জেগে থাকে
অম্লমধুর অকুন্ঠ ব্যপ্তি।
কেকা- কোকিলার হর্ষধ্বনি
প্রশান্ত বনে জাগরুক-
স্মতিপটে ভেসে ওঠে
সদাবিষাদময় এক রাখীমুখ।
***
#৪ বোধ
উড়িয়ে দিচ্ছি,
ছড়িয়ে দিচ্ছি-
হাওয়ার বানে ভাসিয়ে দিচ্ছি;
মিশিয়ে দিচ্ছি,
অনুকণায়।
রক্তে মিশে যাচ্ছে বিষে-
গাঢ়নীলের অবোধ্য়তায়।
মিশে যায়
আসলি ভেজাল,
মিশে যায়
মূল্য়বোধ;
মিলে মিশে একাকার
সামাজিক নীতিরোধ।
কবে থেকে বসে থাকা,
কবে থেকে আবছায়াময়-
জনৈক মিশাল রয়
দৃঢ়হস্তে কর্মপ্রাণময়,
গরল- অমৃতের
ব্য়বচ্ছেদতায়।
সব হোক
বোধী হোক
আপাত পঙ্কলতায়।
মন্দ- ঠিকের হিসাব শিখুক
আমজনতায়।
***
#৫ পোষ্য়
তুই কি আমার পোষ মানবি?
দুধ দেবো, মাছ দেবো-
সর ধরলে চেঁছে দেবো।
সময়ে-অসময়ে, এটা-ওটা-
ঠান্ডা নামলে –
উষ্ণ জামা।
গরমকালে –
শীতল পাখা।
চিনবি আমায়,
বুঝবি মোরে।
পালাবি নি আর,
দূরে দূরে।
সব মানব তোর।
এবার শুধু আমি করি একটু জোর-
পেছন থেকে আঁচড়ে আমায়,
দিসনা জোরে দৌড়।
***