“সবার আমি ছাত্র,এটা ছোট্ট বেলার কথা।।
সত্যিকারের ছাত্র,হওয়া কি চাট্টিখানি কথা?
সুযোগ ছিল,স্কুল বয়সে,বছর দশেক আগে।
বেসিক বিহীন ছাত্র ছিলাম,আজ কে মনে জাগে।।
শিক্ষণীয় বিষয়ের কি,কমতি ছিল তখোন?
বাংলা বানান,কবিতা,ভূগোল,সব ভুলেছি এখন।।
স্বপ্নে যখন তালতলা যাই,বৃষ্টি ভেজা রাতে।
চশমা পড়ে,বোর্ডের সামনে,স্যার দাড়িয়ে থাকে।।
“আঁকের পাতায় লম্বা আঁচড়,ক্যালকুলাসে দড়।
বেসিক টাই তো নরম তোদের,মুন্ডু বিহীন ধড়।।
বেসিক বিহীন বাঁদর গুলো,বেসিক শেখ আগে।
মনে পড়ে কি? অভিকর্ষ কখন পিছে লাগে?
মগজ ভরা গোবর তোদের,মারবো দু চার থাবা।
তোদের নিয়েই গেছেন লিখে,মানিক বাবুর বাবা।।”
শুরু বড্ড কঠিন হলেও, সে সুর আজো আসে।
হারিয়ে যাওয়া,বাঁশির মতন,স্কুল স্মৃতি তে ভাসে।।
অপদার্থ বাঁদর গুলোর,বেসিক আজ ও করুন।
কান গুলো ও আছেই খাড়া,শক্ত হাতে ধরুন।।
“ফিজিক্স ল্যাবের দ্রাঘিমা কত? অক্ষাংশ জানিস??
আইনস্টাইন?আভোগ্যাড্রো? কাকে ই বা তুই মানিস??
শূন্য পেয়ে গোমড়ামুখো?? গোমড়াথেরিয়াম??
ঋণাত্মক ই চাস তবে তুই, ক্লাস টেস্টের মান?? “
গণ্ডদেশে লম্বভাবে বলপ্রয়োগের পড়ে,
জুল সাহেবের জটিল হিসেব আজ ও মনে পড়ে।।
ছাত্র হওয়া কঠিন অনেক,কঠিন ছাত্র থাকা।
কঠিন আর ও কৌতুহলকে নিজে তে জাগিয়ে রাখা।।
হঠাৎ করে নিভল ঝড়ে, সাঙ্গ হলো খেলা।।
শেষ হয়ে গেল বাঁদর গুলোর বেসিক শেখার পালা।।
আজ থেকে প্রায় বছর ছয়েক, ছ’বসন্ত আগে।
চুপটি করেই গেলেন চলে,না জানি কোন রাগে।।
শূন্য , যে টা গর্ব মোদের,শ্রেষ্ঠ অবদান।
মনের পাতায় শুধুই সেটা করছে অধিষ্ঠান।।
— যার কাছ থেকে শুধু গণিত কিম্বা পদার্থবিদ্যা নয়,শিখেছিলাম আর ও অনেক কিছু, যার অকালমৃত্যু আজ ও কিছুতেই মেনে নিতে পারি না, সেই অতি প্রিয় শ্রদ্ধেয় “রবীন্দ্রনাথ মন্ডল” এর প্রতি। “শুভ শিক্ষক দিবস স্যার”।