অনেকটা জায়গা জুড়ে একটি সরকারি dairy farm। খুব মনোরম ও শান্ত পরিবেশে। farm টি শেষ হলেই এক পাশে জঙ্গল আর অন্য পাশে চা বাগান দুটোই অনেক দূর অব্দি বিস্তৃত। Farm এর অফিসটি তে গোটা 10-12 জন লোক কর্মরত। ফার্মের নিজস্ব চাষের জমি আছে তাতে কাজ করতে আশেপাশের গ্রাম থেকে স্থানীয় লোকজন কাজ করতে আসে ঠিকায়। সেই রকম একজন হলো বুধুয়া। বয়স 45-46 হবে। চাষের কাজ বছরে 4-5 মাস হয়ে। সবই ফার্মের পশুদের জন্য। তার ছেলে সূর্য সদ্য গ্র্যাজুয়েশন পাস করেছে|
“আমি তোকে কত ভালোবাসি তুই কি জানিস!” বললো রাজেশ
“তোর জন্য আমি এখন থেকে যাচ্ছিনা। না হলে কত ভালো ভালো চাকরির অফার আসছে আমার কাছে। যদি যাই তো তোকে নিয়ে যাবো।” সূর্য তার ভাইয়ার দিকে চেয়ে রইলো। না এই যুবকটি ওর ওপর কোনো জাদু করেছে। তা না হলে, সবার বারণ সত্ত্বেও কেন ওর মন ওকে জোর করে ওর ভাইয়ার কাছে টেনে নিয়ে আসে। এখন সূর্য অফিসের কাজের সাথে সাথে রাজেশের দেখাশোনা করা আর ওর কোয়ার্টারের কাজ ও করে। এটা অফিসের বড় সাহেব ওকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন মাস খানেক হলো।
“জানিস সমকামিতা নিয়ে দুনিয়ায় কত আন্দোলন হচ্ছে, আমার দেশ নতুন নতুন আইন করা হচ্ছে। এখন আর সমকামিতা কোনো অপরাধ নয়। এখন একজন ছেলে আরেকজন ছেলে কে ভালোবাসতে পারে, এক সাথে থাকতে পারে। জানিস দুটো ছেলে নিজেদের মধ্যে sex enjoyment করতে পারে। এটাকে gay sex বলে।” বললো রাজেশ| সূর্য এইসব কিছু বোঝেনা। ও শুধু এতটুকু জানে যে ও এই যুবকটি কে নিজের মন দিয়ে বসেছে। আর তাই তো সে দিন, মানে দুদিন আগে যখন ওর ভাইয়া সন্ধে বেলা জানালো তার আজ জন্মদিন আর বাড়ির জন্য খুব মন খারাপ করছে আর তাই সে চায় আজ রাতে সূর্য বাড়ি না গিয়ে ওর সাথে থেকে যায়, সূর্য বারণ করতে পারলো না। কিন্তু ওর নিজের বাবার জন্য চিন্তা হলো, কারণ সে তো ওর জন্যে অপেক্ষা করবে। রাতে দুজনে এক সাথে খায়।
রাজেশ বললো তার চিন্তা করতে হবে না। সে লোক দিয়ে ওর বাবার কাছে খবর পাঠিয়ে দিয়েছে। সেদিন রাতে খাবার টেবিলে অনেক খাবারের আয়োজন। সন্ধেবেলাই অফিসের কাজের পর রাজেশ সূর্য কে নিয়ে শহর থেকে সব কিনে এনেছে। এই প্রথম সূর্য কারুর bike এ চড়লো। এতদিন শুধু দেখতো এই গাড়িটি করে লোকে কেমন গুস করে বেরিয়ে যায় সামনে দিয়ে। বেশ মজাও লাগছিলো আর ভয় ও। রাজেশ ভাইয়া বেশ জোরেই চালায় bike। কানের পাশ দিয়ে কেমন আওয়াজ করে হাওয়া বেরিয়ে যাচ্ছে। ও জোড়ে জাপটিয়ে ধরে রেখেছে রাজেশ ভাইয়া কে। ফেরার পথে, একটা ভালো ice-cream parlour দেখে ঢুকলো দু জনে। রাজেশ ওকে মেনু কার্ডটি দেখিয়ে জিগ্যেস কোন ice-cream টা ওর পছন্দ। সূর্য এইসন কোনো দিন দেখেনি। গ্রামে গরম কালে cycle বা van এ কুলপিমালাই যায় তাই ওরা সবাই মাঝে মধ্যে পয়সা জমিয়ে কিনে খায়। সত্যি কথা বলতে, রাজেশ ভাইয়ার কাছে থেকে বেশ নতুন নতুন খাবার পাচ্ছে খেতে। মাঝে মধ্যে বাবার জন্য মন খারাপ ও করে, এই সব খাবার ও যে এক খায় তা বাবার জন্য নিয়ে যেতে পারেনা। সে কথা ও বলেও বাবা কে।
তাতে কি হয়েছে বাবা, তুমি ভালো করে খাও। আমার কোনো কষ্ট হয়না। তোমাকে আমি আর কতটা কি দিতে পারি। বলে ওর বাবা। দেখো এই চাকরিটা যেন পাকা হয়ে যায়। তাহলে আর আমাদের কোনো কষ্ট থাকবে না। তুমি কিন্তু বড় সাহেবের ও ছোট সাহেবের (রাজেশ শর্মা) কথার অবাধ্য হবে না কেমন। জানালো তার বাবা।
রাতে খাবার টেবিলে যখন ও আর রাজেশ বসলো, সূর্য দেখলো নানান খাবার টেবিলে সাজানো আর সাথে দামি পানীয় মনে মদ। সে বললো এর আগে ও কোনো দিন মদ খায়নি আর খেতেও চায়না।
“আমার জন্যও খাবে না? আজ আমার জন্মদিন আর এই টুকু অনুরোধ রাখতে পারবেনা!” বললো রাজেশ।
সূর্য দোটানায় পড়লো। ঠিক আছে, তবে একদম অল্প দিয়ো কিন্তু ভাইয়া। বললো সে। যতই হোক ওর ভাইয়া ওর কাছে সব কিছু। ও জানে না কি সেই টান যার জন্য ও একরকম বস হয়ে পরে রাজেশে ভাইয়ার কাছে এসে। খাওয়া দাওয়া ভালোই হলো। আর কথায় কথায় প্রায় অনেকটাই মদ খেয়ে ফেলেছে সূর্য। এখন ওর প্রায় সম্পূর্ণ জ্ঞান নেই বলে যেতে পারে। রাজেশ ওকে কোলে করে বেডরুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিল। নিজেও change করে আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়লো সূর্য্যের পাশে। সূর্য প্রায় বেহুঁশ বলা যেতে পারে। রাজেশ কি করবে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল। সে আসতে আসতে এগিয়ে গেলো সূর্যের কাছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে সূর্য অবাক হয়ে গেল। সে নিজেকে ও ভাইয়া কে এই অবস্থায় দেখবে কল্পনাও করতে পারেনি। দুজনে বিছানায় উলঙ্গ হয়ে শুয়ে আছে। দুচোখে জল চলে এলো তার। সে প্রায় এক দৌড়ে এখান থেকে পালিয়ে যেতে চাইছিল। ডুকরে কেঁদে উঠলো সে। রাজেশের ও ঘুম ভেঙে এসেছে। সে আসতে করে সূর্যের কষছে এগিয়ে এলো। ওকে জড়িয়ে ধরে বললো, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি সূর্য। তুমি আমার কাছে সব। আমি চাই টিমকে নিয়ে আমার পুরো জীবনটা কাটিয়ে দিতে। সূর্য কিছু বলতে পারল না। মাথা নিচু করে যেমন ছিল সে রকমই রইলো।
কদিন হলো সূর্য খেয়াল করলো ভাইয়া অফিসেও আসেনা আর quarter এও নেই। বড় সাহেব কে জিগেস করা যায়না। অফিসেও সবাই কে বলা যায়না। এমনিতে সবাই সূর্যে ভালোবাসে ওর মিষ্টি ব্যবহার ও অল্পভাষীর জন্য। সে কাজে বেশ পুটু হয়ে গেছে এই ক মাসে। হাঁ দেখতে দেখতে প্রায় 8 মাস হয়ে গেল ওর এখানে কাজে যোগ দেয়ার পর। বড় সাহেব বলেছেন সে উপর তলায় কথা বলবে যাতে সূর্য কে এই অফিসে পাকাপাকি ভাবে রেখে দেওয়া যায় তার জন্য। তা সে অনেক ভেবেচিনতে তার immediate boss, সুবিমল ঘোষ যিনি office superintendent, কে জিগ্যেস করলো রাজেশ এর ব্যাপারে।
আরে তোমাকে বলা হয়নি। রাজেশ তো তার বাড়ি গেছে এক মাসের ছুটি নিয়ে। সামনেই তো ওর বিয়ে।
হাঁ, বিয়ে, ঠিক শুনলো সূর্য! ভাইয়া ওকে কিছু বললোনা এক বারের জন্য। সে রাতের পর যখনই রাজেশ বলেছে, ও থেকে গেছে ভাইয়ার কাছে। কত গল্প, কত আদর। এর মধ্যে ও নিজেকে পুরোপুরি চিনতে শিখেছে। ও একজন সমকামী পুরুষ। আর এও বুঝেছে ভাইয়া ওকে প্রায় রাতে যা করে তা পুরোপুরি আদর নয় বরং ধর্ষণ। হাঁ তাই কারণ ওতে ও তার ভাইয়ের হিংস্র রূপটা উলঙ্গ হয়ে পরে। ও অনেক বার বলেছে যে ওর ব্যাথা লাগে, ও কষ্ট পায় তবু সে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেন। যেন এক হিংস্র বাঘ একরি শান্ত নিরীহ মেষ শাবক কে চিবিয়ে খেতে চায়। তবু সূর্য সব সহ্য করেছে এত দিন কারণ আর যাই হোক ও তার রাজেশ ভাইয়া কে মন থেকে ভালোবেসে ফেলেছে। সে যখন ওর কাছে বাড়ির জন্য খুব মন খারাপ হচ্ছে বলে কান্নাকাটি করতো, সে যে মায়ের মিতন তার মাথা তা নিজের কোলে নিয়ে আদর করে হাত বুলিয়ে দিতে, যদিও সূর্য নিজে মায়ের আদর খুব ছোট বয়সেই হারিয়েছে। ওর মা মারা গেছেন যখন ওর নিজের বয়স 12 বছর।
সূর্যর আজ আর কাজে মন বসছেন। আবার সবার সামনে কাঁদতেও পারছেনা। খালি খালি দু চোখ ভরে জল চলে আসছে আর ও সবার থেকে লুকিয়ে মুছে ফেলছে। এখনো অফিস থেকে ছুটি পেতে ঘন্টা তিন বাকি আছে। এমনিতে এখন কাজের খুব একটা চাপ নেই। মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ খুব চাপ থাকে। তার পর আস্তে আস্তে হালকা হয় যায়। সূর্যর কাজ কম্পিউটার এ data এন্ট্রি করা আর রিপোর্ট বার করে superintendent বাবুকে handover করা। এই সব ডাটা উনি সূর্য কে দেন মাসের প্রথম সপ্তাহে, যখন বাকি সব উনিত থেকে raw data আসে অফিসে কম্পিউটারে feed হতে। তার পর তা থেকে নানা রিপোর্ট, chart, graph ও analysis তৈরি করতে হয় সূর্যকে। ও B.Com. পাস করেছে শিলিগুড়ি city govt. college থেকে। ওই প্রথম graduate নিজের গ্রামের। এর আগে কেউ আর কলেজ অব্দি যায়নি। ওর বেশিরভাগ বন্ধুরাই নয় স্কুল এ পড়তে পড়তে ইতি টেনেছে আর না হয় school final পরীক্ষাটি পাস করেছে। তাও কোনোব্রকমে টেনে টুনে। তার পর নয় চাষের কাজ, না হয় চা বাগানের শ্রমিক আর নয় শহরে অন্য কোনো কাজ। সূর্যই পুরো নিজের ইচ্ছাশক্তি আর জেদে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। স্কুল ভালো রেজাল্ট করার জন্য সরকার থেকে বৃত্তি ও পেয়েছে। এর সাথে কম্পিউটারের কোর্স ও করেছে। তার পরই এটি কাজের সুযোগ টা আসে। একে সরকারি প্রতিষ্ঠান তার ওপর বাবা এদের সাথেয় দীর্ঘ দিন কাজে যুক্ত তাই বড় সাহেবই প্রায় নিজের চেষ্টায় সূর্য কে এখানে কাজের একটা সুযোগ করে দিয়েছিলেন আর সূর্য নিজেও তার পুরো মির্য্যাদা রেখেছে।
ও উঠে গেল নিজের জায়গা থেকে তার পর সোজা চলে গেল অফিসের পিছনের দিকে বাথরুমে। এটাতে সাধারণ যারা কুলি কামিনরা আছে তারা যায়। আজ কোনো কুলিকামিন নেই। তাই সেটা ফাঁকা, সে জানে। সে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো আর তার পর কাঁদতে লাগলো জোরে জোরে। এতদিন যা যা বলেছে ওর ভাইয়া ওকে সব কি মিথ্যে? ওকে এত আদর করে, নিজের হাতে করে খাইয়ে দেওয়া, সব সব মিথ্যে? না ও মিনে নিতে পারছেনা এই মিথ্যে কে। এটা হোতে পারেনা। superintendent sir ভুল শুনেছেন নিশ্চই। তাই বা কি করে হয়। উনি ভুল শুনবেন কেন। তাহলে ওই মিথ্যে, ওর অস্তিত্ব মিথ্যে। রাজেশ ভাইয়া তাহলে ওর শরীর কে ব্যবহার করেছে এত দিন ধরে শুধু সাময়িক আনন্দ পাওয়ার জন্য? না সূর্য আর নিতে পারছেনা। ওর মনে হচ্ছে এখনই ওর মাথা ফেটে চৌচির গোয়ে যাবে, সমস্ত ঘিলু বেরিয়ে পড়বে। ওর মনে হচ্ছে আসতে আসতে ওর জ্ঞান হারাচ্ছে, ও যেন ঘুমিয়ে পড়ছে। ও বাথরুমের দরজা খুলে বেরিয়ে এলো। ছুটে গেল অফিসের পাশেই লাগোয়া শস্য ক্ষেতের দিকে।
আজ সপ্তাহ খানেক পর সূর্য অফিস join করলো। এতদিন ও খুব অসুস্থ ছিল। প্রচন্ড জ্বর যা কমার কোনো লক্ষনই দেখছিল না ডাক্তার। তিনি জানিয়েছিলেন যে সূর্য হয়ত কোনো বড় মানসিক আঘাত পেয়েছে হটাৎ করে যার থেকে এই শরীর খারাপ। না হলে আর কোনো লক্ষণ তো দেখা যাচ্ছেনা। যায় হোক, সূর্য প্রায় নিজের মনের জোরে সেরে উঠলো আর তার পর অফিসে এলো। কিন্তু অফিসে এসে শুনলো দুটি খবর যা ওর পায়ের তলায় মাটি কাঁপিয়ে দিলো।
প্রথম ওর চাকরিটা আর নেই। ওকে পাকাপাকি ভাবে রাখার কথা খারিচ হয়ে গেছে কারণ ওর জায়গায় নতুন লোককে নেওয়া হয়ে গেছে head-office থেকে। সে কাল কিংবা পরশু থেকে কাজে যোগ দেবে। তাই আজ ওর এখানে বলতে গেলে শেষ দিন। ওর সব টাকা পয়সার হিসাব বুঝিয়ে দিয়েছেন superintendent বাবু। Superintendent বাবু জানালেন যে বড় সাহেব তার অসুস্থতার জন্য যে কামাই হয়েছে তার জন্য কোন টাকা কাটেনি। এবং তার কাজে খুশি হয়ে উঠলে আরও কিছু বোনাস হিসাবে দিতে বলেছেন।সূর্য টাকাটা নিয়ে ওনাকে প্রণাম করলো। উনি ও আশীর্বাদ করলেন।
এক বার বড় সাহেবের ঘরে যেতে পারি? জিজ্ঞেস করলো সূর্য।
দাঁড়াও। আমি জিগ্যেস করছি। এই বলে উনি বড় সাহেবের ঘরে গেলেন এবং কিছুক্ষন পরেই ফিরে এলেন।
যেতে পারো।
সূর্য বড় সাহেবের ঘরে ঢুকলো।
এস সূর্য। আমি তোমার কথাই ভাবছিলাম। প্রথমেই জানাই তোমার কাজে কিন্তু আমরা সবাই খুব খুশি। কিন্তু কি জানো? সরকারি ব্যাপার তো, তাই আমাদের হাতে খুব একটা কিছু করার থাকে না। আমি চেষ্টা করেছিলামনতোমার কাজটা যাতে এখানে পাকাপাকি হয়। বললেন বড় সাহেব।
না না, Sir। ঠিক আছে। আপনারা আমাকে অনেক কিছু হাতে ধরে শিখিয়েছেন। আমার ভুলত্রুটি শুধরে দিয়েছেন। আমি এখানে কাজ করে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি যা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। এই বলে সূর্য ওনাকে প্রণাম করলো।
ভালো থেকো। সুস্থ থেকো। মন খারাপ কোরোনা আর চেষ্টা করো। নিশ্চই ভালো জায়গায় কাজ পাবে। আমার আশীর্বাদ রইলো তোমার সাথে।
আর দ্বিতীয় খবর হলো, ভাইয়া ফিরেছে, সাথে তার সুন্দরী স্ত্রী। দুজনের আলাপ ও ভাবভালোবাসা নাকি কলেজে পড়ার সময় থেকেই। মাঝে কটা মাসের জন্য ছাড়াছাড়ি আর তাই রাগ করে এখানে চাকরি করতে আসা। ওর শশুরের নাকি বেশ বড় ব্যাপসা। ওর নিজের বাবাও সরকারি উচ্চপদস্থ অফিসার। আর রাজেশ ভাইয়াও এখন থেকে পাকাপাকি চলে যাবে কলকাতায়। সেখান থেকে নাকি বিদেশে যাবে দুজনে আরো পড়াশোনা করতে। তাই আজ ওদের দুজনের উদ্দেশে farewell party রাখা হয়েছে।
বেশ বড়সড় কাকে অনানো হয়েছে অর্ডার দিয়ে। দুজন সেজেগুজে এসেছে পার্টিতে যোগ দিতে। বেশ সুন্দর মানছে দুজন কেই। কেউ কাউকে ছাড়ছে না এক পলকের জন্য। সবাই নব বর ও বধূ কে আশীর্বাদ করছে আর উপহার দিচ্ছে। সূর্য কি দেবে প্রথমে ভেবে উঠতে পারলো না। তার পর একটা সাদা খাম চেয়ে নিলো অফিসের বেয়ারা যিনি তার থেকে। তার পর সেই খামে নিজের পুরো পাওয়া মাইনেটা ভরে দিলো আর খামটা আঠা দিয়ে সেঁটে সেটা তুলে দিল নব বধূর হাতে।
ও নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছিল মনে মনে। আজ ও নিজেই নিজের কাছে খুব ছোট মনে হচ্ছিল। ও কি সত্যি ভালো বেসেছিলো ওর রাজেশ ভাইয়া কে? নাকি ওর নিজের মধ্যেও ছিল কোনো পুরুষ দেহের চাহিদা যা মেটানোর জন্য রাজেশ ভাইয়ার কাছে এত সহজে আত্মসমর্পণ করে দিয়েছিল নিজেকে।
হটাৎ সূর্যর চিন্তাধারায় ছেদ পড়লো একটা চিৎকারে। cake কাটা হয়েগেছে। তাই এই আনন্দের চিৎকার। ও দেখলো দুজন দুজনকে cake খাওয়ালো আর সবাই হাততালি দিলো। তার পর সবাই কে cake বিতরণ আহুরু হলো।
এর মধ্যে রাজেশ একটু আলাদা হয় সূর্যর কাছে এলো আর তার জামার বুকপকেটে একটা ছোটো খাম রাখলো। তোর জন্য। ভালো থাকিস। আর হ্যাঁ। Thanks for everything
তার পর একটা নীরবতা।
কি হলো honey? এদিকে এস, ওদিকে কি করছো সোনা! বললো রাজেশের স্ত্রী।
Yes, my sweetheart, I am coming. বলেই দৌড় দিলো রাজেশ তার স্ত্রীর দিকে।
সূর্য এই সবার মধ্যে থেকে বেরিয়ে এলো নিজের বাড়ির পথে। হটাৎ পকেটে হাত গেল। তাতে একটা খাম। সেটা খুলল সে। তাতে রাখা একটা পাঁচশো টাকার নোট।