লিখতে লিখতে হঠাৎ আমার
পেলো দারুণ ঘুম,
ঘুমের মাঝেই দেখতে পেলেম
বৃষ্টির কি ধুম !
চতুর্দিকে ভেসে বেড়ায়
মেঘবালিকার দল,
বলছে যেন চলরে সবাই
স্বপন সনে চল।
বলেছিল সে দেবে মোদের
এক পৃথিবী লেখা,
কিন্তু একি এখন দেখি
চোখে ঘুমের পাখা !
ওকে আজকে ভিজিয়ে দেবো,
বুঝবে তখন মজা,
মোদের সংগে মিথ্যা কথা !
পাবে উচিত সাজা।
না না আমায় ভিজিও না,
লিখবো অনেক লেখা।
আসছে বারে দেবোই দেবো,
যখন হবে দেখা।
এই দেখোনা খাতাখানা –
চেঁচিয়ে বুঝি উঠি,
দেখে আমার কাণ্ডখানা
মা হেসেই লুটোপুটি।
কি রে খোকা – ঘুমের মাঝে
স্বপ্ন দেখলি নাকি,
মেঘবালিকার দলবল সব
দিচ্ছে মনে উঁকি !
লজ্জা পেয়ে গেলেম আমি–
সত্যি কথা বটে,
ঘুমের মাঝেও দেখি ওরা
আমার পিছু হাঁটে ।
মেঘবালিকা,তোমরা আমার
প্রিয় বান্ধবী,
আমার মনে রইলো আঁকা
তোমাদেরই ছবি।
বড় হয়ে লিখবো আমি
অনেক অনেক পাতা,
তোমাদের সবার সনে
দিলে স্বপন কথা।
ছোটবেলায় ঘুমের মাঝে
সেই যে স্বপন দেখা,
আজো বুঝি আছে আমার
মনের মাঝে লেখা।
আকাশ যখন ঘনঘোর
বৃষ্টি মুষলধারে,
বারান্দায় বসে তখন
মাকে মনে পড়ে।
মেঘবালিকার ভেলার মাঝে
বেড়াই তাঁরে খুঁজে,
প্রশ্ন করি তাদের আমি
চোখের জলে ভিজে।
“দেখেছ কি আমার মাকে
নীলাম্বরের বুকে !
বলতে পারো ওগো বালা
কোথায় পাবো তাঁকে “!
আমার কথায় থমকে দাঁড়ায়
মেঘবালিকার দল,
নয়নযুগল যেন সবার
অশ্রুতে টলমল।
“তোমার মা ত’ দূর আকাশ
আছেন তারার দলে,
সন্ধ্যা হলেই আলোকমালায়
যেথা জোনাক জ্বলে।
আলোর বেশে সাজেন তিনি
ফুলের গন্ধ মাখা,
আমাদের সঙ্গে মায়ের
হয়না মোটে দেখা।
তবুও যদি পথের মাঝে
দেখতে মা কে পাই,
তোমার কথা বলবো তাঁরে
এখন মোরা যাই।”
তখন থেকেই খুঁজে বেড়াই
মা কে তারার মাঝে,
কিন্তু আজও আমার সাথে
হয়নি দেখা সাঁঝে।
দেখা হলে মায়ের সনে
ছোট্ট জিজ্ঞাসা —
“আমায় ছেড়ে কেমন করে
পেলে সুখের বাসা !!”