এসে পৌঁছেছিল চিঠিটা বহুদিন আগে,
খোলা হয়নি খামটা এতদিন,
আজ সেটা দেখলাম খুলে।
কেমন একটা গন্ধ রয়েছে লেখায়,
এক বর্ণহীন অঙ্গারের গন্ধ।
চিঠিটা লিখেছে পারমিতা।
লেখা আছে তাতে এক ক্ষুদ্র হস্তাক্ষরে,
কোন এক শীতল রাতের শেষে লিখেছিল সে-
“থাকিতে পারিতাম যদি চক্ষু বুজিয়া,
তবে মিলাইয়া যাইত সব।
রচিত হইত না সে গল্পে লিখিয়া,
যে বুনিবে একদিন মোর আত্মার শব।”
পড়া শেষে ভাজ করা চিঠিটা ভরে দিলাম খামে,
দেবার মত ছিল না কিছুই মোর প্রত্যুত্তরে।
তবুও লিখিলাম তাকে,
লিখিলাম আত্মার এক সন্ধি-বিচ্ছেদের সন্ধিক্ষণে-
“যাত্রা তুমি করিয়াছিলে শুরু একা,
তাই ফিরিয়া যাইতে হইবে তোমায় একা।
হইবে না কেউই তোমার পথের সাথী,
এখনও হয়তো আছি
কিন্তু মরিতে যে আমায়ও হইবে সখী।”
মনে হল মোর লিখলাম কি কিছু ভুল!
একদিন এই ভুলেই যে কেটেছিল গন্তব্যের সুর।
বুঝলাম আর লাভ নেই ভেবে সেই ভুলের বহর,
চিঠিটা যে পড়ে গেছে ডাকবাক্সে দিতে মোর খবর।
কোন একদিন মৃদু আলাপে শুরু হয়েছিল মোদের আখ্যান,
আজ তার জীর্ণ পরিণয়ে রচিত হল মোদের প্রত্যাখ্যান।