“সারছে না তো, সারছে না একদম।
কি যে ওষুধ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু !”
“আরও একটু সময় দিন, এই তো আগের থেকে
মোটামুটি ভালই আছেন উনি !”
“আচ্ছা, আসল রোগটা কি বলুন তো, যে এত ওষুধ খেয়েও
একেবারে সারছে না?”
“আজকাল জানেন তো মশাই ভেজালের যুগ, কিছুতেই আর পুষ্টি পাওয়া যায় না।
শুধু ওষুধে কি আর পুরোপুরি সারে !ওই আন্ডার কন্ট্রোল থাকতে হয়।”
“না না ডাক্তারবাবু, তা বললে কি চলে ! এই তো গত মাসেই ইসিজি ,ইইজি, সনোগ্রাফি, ব্লাড টেস্ট
কোনও পরীক্ষাই তো বাদ যায়নি, তাহলে?”
তা হলে! রোগটা আসলে কি? কবে সারবে? কি করেই বা সারবে?
দশ বছর কেটে যায়।
রোগী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ !
তার অসম্পূর্ণ স্বপ্নগুলি পূরণ করছে
তারই শাখার ছোট ছোট প্রশাখারা।
তাতে ফুটেছে অজস্র বেল, জুই, পলাশ কুড়ি।
তাদের সৌরভ ও রঙের বাহারে
সুরভিত হচ্ছে পৃথিবীর আকাশ বাতাস।
রোগী আরোগ্য লাভ করে নবজীবনের আনন্দে
মেতে উঠেছে।
এই ছোট ছোট বেল,জুই, গোলাপ, পলাশ তো
তারই প্রতিচ্ছবি।
সবাই অবাক হয়ে দেখছে।