পরনে ফুলহাতা জামা আর বেলবক্স প্যান্ট,
আধুনিকতা থেকে আনেকটাই দুরের ব্যক্তিসত্তা
সেদিন ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে বইয়ের সাথে ব্যস্ত,
সাথে ছিল ক্যাবলামি হাসি, লাজুকতা ছিল প্রকট,
২০১০ এর তিব্র সরলতা কে চ্যালেঞ্জ করে,
কাঁধে হাত রেখে প্রথম প্রশ্ন, আমি অধরা, তুমি?
মুখ নামিয়ে চাপা গলায় বললাম,”সক্ষম”।
দিন যায়, সাথে সাথে কয়েকটা বছর ও,
আজ আমি অনেক জিনিসের সাথে প্রবর্তিত
সিগারেট, বিড়ি, বাউল গান,,স্মার্টনেস,সবকিছুই
জীবন র সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে,,
আর এই সবকিছু র ক্রেডিট , হ্যাঁ সেই “অধরা”
আমার জীবন র সর্বোচ্চ সম্মান আর ভালোবাসা
শুধু সেই মানুষররুপী পরির জন্য বরাদ্দ।
ওই অধরা? মানে কি তোর নামের?
চোখের এককনে জল নিয়ে বলল
“”যাকে কোনদিন ধরা যায় না””
কিছুটা আবাক আর কিছুটা কৌতুহল বসত
জিজ্ঞেস করলাম,আর ইউ ওকে?।
সামান্য নিরবতার সাথে স্থান ত্যাগ।
রাতে কল এল,রিসিভ করলাম
কাঁদতে কাঁদতে বলল,
সক্ষম আমি কাল কলকাতা ছাড়ছি,
বাবার ট্রান্সফার, আমায় মনে রাখিস
কথা শেষ হল তার ভালবাসা র প্রস্তাব এ।
৫ মাস কেটে গেল,
আজও উত্তর দেওয়া হয়ে উঠেনি
অধরা আমাকে সব শিখিয়েছে,
ভালোবাসা ছাড়া
আজ সেটার সংজ্ঞা আমার আয়ত্তে।
ট্রু কলার এ নাম ভেসে উঠল
সাথে সাথে ফেলে আসা ৮ টা বছর
সেই হাসি,সেই রাগ,সেই সিগারেট র ভাগাভাগি
সেই নিরবতা, সেই প্রস্তাব, সেই “অধরা”,
রিসিভ করতেই অচেনা গলার শব্দ।
দুমিনিট র কথোপকথন এ জানলাম,
সে আমার জন্য এক চ্যালেঞ্জ ছেড়ে গেছে
ফেসবুক এ একমাস আগের ম্যসেজ,
“”আমি , হ্যাঁ আমি অধরা,
যাকে চাইলেও আজ ধরতে পারবে না “”।
চোখের জলের মোবাইল র স্ক্রিনকে চুম্বন
একাকিত্ত বেদনা
সাথে সেই মধুর যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি,
রাতের আকাশে ক সাক্ষী রেখে
শুধু একটাই কথা বলছি,
অধরা,তোকে জিততে দেব না।
সেই ন্যাশনাল লাইব্রেরী,
সেই বেলবক্স প্যান্ট,
চোখে বিজয়ের জল
মুখে ফিরে পাওয়া র হাসি।
এক মিনিট, দু মিনিট,শেষে
চোখ বুজে ঢুকিয়ে দিলাম কয়েকটা বড়ি!
মনে মনে একটাই কথা বললাম,
কি রে “অধরা” ধরে ফেললাম তো?।।