যেওনা সুহৃদ হে অমল মিত্র ত্যজি তব চারুলতা,
তুমি চলে গেলে নতুন দিনের আলো কে জ্বালাবে হেথা !
অপরাজিত বীর সৈনিক তুমি অভিযান ঘরে বাইরে,
তোমার বিহনে কে ধরবে হাল অপুর এই সংসারে !
কে বলেছে তুমি হুইল চেয়ারে আজ এই বেলাশেষে !
চল যাই সবে সোনার কেল্লা হীরক রাজার দেশে।
ময়ূরবাহন মোদের জীবনে বাঁধা আজো সাত পাকে,
নহ তুমি কোনো গণশত্রুই শাখাপ্রশাখার বাঁকে।
অতল জলের এই আহ্বানে দিও নাকো তুমি সাড়া,
বাঙালী কি করে বাঁচবে বলতো গণদেবতাকে ছাড়া !
তোমার গানের স্বরলিপি আজো নব পরিণীতা বধূটিরে,
ভাবায় কত না আকাশ কুসুম লাজুক হিয়াটি ঘিরে।
মগজাস্ত্রের খেলাতে বিজয়ী জয় বাবা ফেলুনাথ,
কোরোনার থেকে কর্কট সব হোক আজ কুপোকাত।
হাসপাতালের শয্যায় তুমি আতঙ্কে বুক কাঁপে,
অশনির কোন সংকেত বুঝি বাঘিনীর উত্তাপে।
ছাড়বো না কেহ দেবদাসে মোরা তিন ভুবনের পারে,
থাকবেই সখা জোড়াদীঘি পাড়ে চৌধুরী পরিবারে।
অরণ্যের দিন রাত্রি উজল প্রতিভার ঝলকানিতে,
পথ ও প্রাসাদে শুভ আগমন কিনু গোয়ালার গলিতে।
তুমি আমাদের কাঁচ কাটা হীরে নয় বসন্তে বিলাপ,
মোদের কণ্ঠে মণিহার হয়ে করেছ কতই আলাপ।
একুশ রজনী সেন তোমার স্ত্রীর পত্রের ঠিকানা,
জীবন যুদ্ধে জয়ী হবে তুমি ক্ষিদ্দা মোদের জানা।
ছুটির ফাঁদের নাগপাশ থেকে মুক্ত হও গো কৃশাণু,
মুস্কিল ওই আসানের কাছে আজ মোরা নতজানু।
আলেয়ার আলো যতই জ্বালাক নির্দয় ঐ বিধি,
সংসার এই সীমান্তে তুমি আমাদেরই প্রতিনিধি।
প্রদোষ মিত্র জেনো আমাদের সবাকার টেলিপ্যাথি,
তোমাকে ফেরাবে জীবনের গানে জ্বালায়ে হাজার বাতি।