ছোট্ট শহর গুলোয় বিকেল টা অনুভব করা যায়, এখানে বিকেলের একটা অন্য গন্ধ আছে।আমাদের পেয়ারা গাছের ফাঁক দিয়ে দুপুরের পড়ন্ত আলো এসে দেওয়ালে আলো ছায়ার মায়া খেলা করে। অস্তমিত সূর্য কমলা থেকে বেগুনি হয়ে গাছগুলোর ওপর এক অদ্ভুত আস্তরন ফেলে। কার্ত্তিকের অপরাহ্নে শরৎ যখন চলে যায়, যখন ফেলে আসা অনেক স্মৃতি বিস্মৃতির আড়ালে লুকোতে চায়, তখন আসে হেমন্ত
এমন সময় আমিও আরো গভীরে বেড়াতে যাই। সেখানে হঠাৎ করেই দেখা মেলে কোনো কিশোরের। সে আমাকে আদর করে তার ঘরের উঠোনে বসায়, বলে কার্ত্তিকে পরিপক্ক আমান ধানের কথা। ছেলেটার সারা গায়ে ধূলো, সারা চোখে গোধুলির গল্প। ওকেই বলি যে এমন সময় আমরা নতুন কিছু আর ভাবতে পারছি না, বলি যে এতো শব্দ আমাদের এক রাশ নিস্তব্ধতা ছাড়া আর কিছুই দিচ্ছে না। কনে দেখার আলোয় আমি ওর কৈশোরের গোপন ইচ্ছে গুলোর ঘ্রাণ পাই। সেই গন্ধ মিশে যায় হেমন্তের সাঁঝবেলায় । দূরে তখন বাঁশঝাড়ে জোনাকিরা রূপকথা লেখে।

 

 

~ শুধু হেমন্তের জন্যে ~
Print Friendly, PDF & Email
0 0 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments