কোথা থেকে এলো এত আলো নীল আকাশে?
তবে সংক্ষিপ্তই যে ভালো কারণ দিনটা বাজে।
তারপর সংপৃক্ত, মিশকালো, তবু অমিল আকাশে।
কোথা থেকে যেন শুনতে পেলাম তিনটা বাজে।
জ্বলছে নীরবে কলকে হাতে, সযত্নে, মায়ের কোল কি হাতে?
কলসি হতে ছলকে রাতে পিছল মেঝেয় চিন্তা ভেজে।
বৃষ্টি এলো, এলোমেলো, কিছু ফোঁটা জানালা দিয়ে।
বসে ছিল আঁধার ঘরে, দরজায় সে তালা লাগিয়ে।
জানালা দিয়ে আলোর সেই দিন টানা যে,
কোথা থেকে যেন শুনতে পেলাম তিনটা বাজে।

বৃত্ত হল উপবৃত্ত, আয়তক্ষেত্র সামান্তরিক।
গণিতের গুণে, আমার অগুণে সবই যেন আন্তরিক।
আঁধারের মুখে মিষ্টি হাসি, বামনে করছে বামন জরিপ।
রেখেছি রাত, ছেড়ে দিয়েছি দিনটা চাঁদে।
লেখার খাতার আয়তক্ষেত্রের আয়তনের আয়ত্তের বাইরে,
কোথা থেকে যেন শুনতে পেলাম তিনটা বাজে।

নেশার ছলের বিশাল সাগর, তবু ঝাঁপায় মীন জাহাজে।
অস্ত যাই না রবির ঘুমে, গভীর ঘুমের দীন সমাজে।
তিনশ-মাঝে আমি একা, আশ্রয়ে তাঁর নামে যারা,
জেগে ঘুমিয়ে দিশাহারা, মন্ত্রে কিংবা তিন নামাজে।
আমার এই অন্তহীন নামা যে থামবে গিয়ে কোন অতলে?
অতল আঁধারের এপারে তখন সাঁঝের ঘরে দিনটা সাঁজে।
কোনদিন সেই বলবে তোমায় কেন ঘুরি রাতে রাতে।
কেন লুকায় মেঘের আড়ালে দিনটা লাজে৷
তিনশ-মাঝে আমি একা, ছোট্ট এক অমিল আকাশে,
রেখেছি রাত, ছেড়ে দিয়েছি দিনটা চাঁদে।
লেখার খাতার আয়তক্ষেত্রের আয়তনের আয়ত্তের বাইরে,
কোথা থেকে যেন শুনতে পেলাম তিনটা বাজে।

Print Friendly, PDF & Email
0 0 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments