একটা কাঁটা ঝোপ বেশ বড় হয়ে ছিল। গাছ টা শুধু কাঁটাগাছ ছিল তাই নয় সেটা ছিল বিষাক্তও। কাঁটাঝোপ টার আশপাশ একটু ফাঁকা। অন্য গাছ পালারা যেন তাদের বেঁচে থাকা টা নিশ্চিন্ত করতে সেখান টা ফাঁকা রাখাই শ্রেয় ভেবেছিল। ভুল করে কক্ষনও কোন প্রজাপতি বা পোকারাও ওই গাছের কাছে যেত না। তবে মাটি তে ঘাস ছিল। গাছের গোড়ার কাছের ঘাস গুলো মনে হত যেন ধুসর। মরা নয় কিন্তু বেঁচেও নেই। ওই ঘাস গুলোর থেকে একটু দুরের ঘাস গুলো সভয়ে ওই ঘাসে দের দেখত। মনে হত যেন এক নিরন্তর হুতাসন ঘিরে রয়েছে ওদের। টে
একদিন ভোরের আলো ফুটলে একটু দুরের ঘাসেরা দেখল বিভীষিকার মত সেই গাছটাতে একটা ফুল ফুটে রয়েছে। ওরা ভারি অবাক হল। ফুল? তাও কিনা এমন সুন্দর যে চেয়েই থাকতে হয় সময় ভুলে অনেক ক্ষণ? ভারী আশ্চর্য তো!
ঘাসে ঘাসে গুঞ্জন। সে গুঞ্জন আলতো পায়ে আরও দুরের ঘাসেদের কাছেও পৌঁছল। বাতাস আজ তাদের কাছাকাছি এসে অবাক হল। বলি, ব্যাপার কি? কি খবর কানাকানি করছ? ঘাসেরা সমস্বরে বলে উঠল, বন্ধু, ব্যাপার বড় অদ্ভুত! এসো কানে কানে বলি।
বাতাস সেই কথা শুনে বলে তাই তো! তাই তো! তাহলে তো দেখতে হয়। অমনি ছুটে গেল সে। সেই ফুলের রূপ দেখে বাতাস একেবারে নিশ্চুপ। যখন হুঁশ হল সময় তখন অনেক টাই এগিয়ে গেছে।
এ কোন ফুল! এ কথা ভাবতে ভাবতে আবিষ্টের মত মাতালের মত বাতাস চলতে লাগল। বাতাস মাতাল হলে সেই মাতলামি ছোট- বড় –মাঝারি সব গাছেদের পাতায় পাতায় নূপুর বাজায় এ কথা কে না জানে?
সেই সুবিস্তৃত নূপুর নিক্বণে ভরে উঠল বনস্পতি। বনস্পতিদের মাথায় আকাশও। আকাশের দিকে দিকে গুঞ্জরিত হল এ কোন ফুল? এ ফুল কেমন করে হল? কেমন করে ফুটল ওই ভয়ানক গাছে!
আরও দূরের আকাশ থেকে উল্কা খসে পড়ার মত নিঃশব্দে ঝরে পড়ল দুটি শব্দ- আমার ইচ্ছা।