তারপর,” কলকাতা -৩২ ” জুড়ে মনখারাপ করা হাওয়া বইবে। আমরা, বইখাতা গুটিয়ে বসে থাকব চুপ করে।আমি, কারোর ঘামে ভেজা ঠোঁটে দেখতে পাব পুরোনো প্রেমিকের ছায়া। গিটারে সুর তুলে কেউ আবার খুঁজে বেড়াবে নতুন একজোড়া চোখকে। অন্য কেউ, আগোছালো হয়ে যাওয়া নিত্যদিন-কে গুছিয়ে নিতে চাইবে একটু। বাক্সপ্যাঁটরার মতন করে।কোনো এক পাগল,পাশে বসে কথা বলে যাবে ক্রমাগত।অর্থহীন স্বপ্ন, আর,বেঁচে থাকার কথা। আমরা সবাই শুনবো, কিংবা শুনবো না। সেও ক্লান্ত হয়ে আশ্রয় নেবে মেয়েটির কোলে, যাকে সে ‘প্রেমিকা’ বলে ডাকে হয়তো বা। আর,মেয়েটি হলুদ, বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ঘাসের দিকে তাকিয়ে ভাববে, “এভাবে , এভাবেই থেকে যেতে পারি”।
এরমাঝে কেউ আবার ঘুমিয়ে পড়বে। ভালবাসতে (পেরেও) না পারার ক্লান্তি নিয়ে। একটা কুকুর দু-চার বার ঘুরে আসবে এদের পায়ে পায়ে।তারপর পালিয়ে যাবে, এই বিষণ্ণতা, এই নৈ:শব্দের মধ্যে থেকে। কোনো একজন, অন্যমনস্কতার মাঝেই, পাতা ওলটাবে ‘ভাস্কর’ এর।আলতো স্বরে কেউ কানের কাছে গুনগুন করবে,”অবান্তর স্মৃতির ভিতর অশ্রু ঝলোমলো /লিখিও উহা ফিরত চাহো কিনা?”কারোর ফোনে পিংক ফ্লয়েড বাজবে। কেউ বলবে, ডেনভার বাজা না!হালকা করে!! আবার, সেই পাগল -টা সামনে বসে থাকা বান্ধবীর কাজলের গভীরতা বিচার করতে করতে ভাববে,’মরে যেতে তো পারিই। মরতে দিলে তো?!’
সন্ধ্যে নামবে।ঝিলপাড়ে, গ্রীন জোনে, পিজি আর্টস কিংবা ওএটি -তে।বাড়ি ফেরার তাড়া গ্রাস করবে সবাইকে।আস্তে,আস্তে উঠে দাঁড়িয়ে কেউ কপাল থেকে নামা একগাছি চুল সরিয়ে নেবে, কেউ ‘সিল্ক কাট’ -এ আগুন ধরাবে।অটোর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকবে ‘একা এবং কয়েকজন’।দূরে, স্টাফ কোয়াটার্স এ গান বাজবে, রেডিও তে–
” সায়েদ ইস জনম মে মুলাকাত হো না হো…… “