ভাদ্র নিলো বর্ষ বিদায় ভরাট গাং টি রেখে
কয়েক পশলা ভিজেছিল সে , কিছু সোনা রোদ মেখে |
শিশু ভগবান ধুলার প’রে দেখো খেলে অবহেলে
যোগমায়ার ওই কালের বার্তা শুনেছিল কি সকলে ?
কালে কালে ফেরে অসুর দানব দমন করতে সৃষ্টি
রক্ষাদাত্রী ধরণীর মাতা ধায় তারই পিছে নয়নে অভয় দৃষ্টি |
অশেষ যে তার সহিষ্ণুতা অসীম তার কল্যাণ শক্তি
অবুঝেরা বৃথাই তার মহিমার ব্যাপ্তি মাপতে দেখায় অপার ভক্তি |
তথাপি থামেনা ধরিত্রী ব্যাপি হিংসা, স্বার্থ, পাপ
শান্তি দেয় না দু দন্ড মা’কে,’জাগো ,জাগো ‘দেয় ডাক |
তাই তো প্রকৃতি সংহার রূপে হানা দেয় বিস্ফুরণে
তবুও শিক্ষা পায়না অবোধ ভুল করে ক্ষণে ক্ষণে |
বিস্মরণের এই মায়া খেলা, এত বেদনা এত চাওয়া পাওয়া ….
তারই মাঝে আসে শারদ উত্সব শিশির সিক্ত শিউলিতে ছাওয়া |
চারদিন ব্যাপি মহাসমারহ, তবু মায়ের চোখ অহরহ কারে যেন খোঁজে
কোন সে একাকী মা কেঁদে সারা, দীপটি জ্বালিয়ে সাঁঝে
যার ছেলে বহুদূর দেশ থেকে পঙ্গু বাপের খোঁজ নেয় মাঝে মাঝে !
চোখেতে হারাত যেই জননীকে সারাটাদিন শৈশবে
সেই মাকে খোকা কবে ভুলে গেছে হাজার কাজের চাপে |
কোন সে তরুণী নিদ্রা ত্যাজিয়া সারারাত করে সেবা
পুজোয় কিছু নতুন না দিলেই নয়, ছোট ভাই বোন পথ চেয়ে রয়
তাই তো দিদির নেই তো ছুটি, আর তাদের আছে কে’বা !
সীমান্ত রেখা মাঝ বরাবর লোহার দন্ডে কাঁটা তার বাঁধ
তার পাশে কে ও, দুটি চোখ যার সদা জাগ্রত
প্রহরের পর প্রহর দাড়িয়ে, ভারী অস্ত্রে ঠেকানো কাঁধ !
জীবনকে পন রেখেছে এ যে, দেশ মাতৃকার প্রহরী সেজে
দেহে ভরা যেন আছে শুধু বল,মনে নাই কোনো সাধ |
কর্ম যাদের পূজার অর্ঘ্য, দায়ভারে ভরা ডালি
নাই বা দেখল রোশনাই বাতি, নাই বা সপিল অঞ্জলি !
যারা অক্লান্ত গেয়ে যায় শুধু কর্তব্যের জয়গান
গান, বাজনা, আলোর মাঝে ‘মা’ খোঁজেন সেই সন্তান |