হে রাত্রির যবনিকায় ঢাকা রিক্ত চন্দ্রিমা !
তোমার রূপসম্ভার আজ কালিমালিপ্ত –
চতুর্দিকে বিক্ষিপ্ত , ক্ষধার্ত কুমিরের লালায় সিক্ত ;
সৃষ্টির উর্ধ্বে যার স্থান –
সে আজ সমগ্র সৃষ্টির বাসনা মেটাবার অজুহাত ;
অধিকারহীনতার কেন্দ্রবিন্দতে ভর করে থাকা রজনী
এই বুঝি সর্বহারার ব্যর্থ কাহিনী ;-
ক্লান্ত শরীর আর ক্লান্ত প্রাণের বোঝা ছাপিয়ে
জঞ্জালমাখা সমাজদরিয়ায় সে ভেসে যায় ।
পরবন্দী, পরদাসী
সুস্থ জীবনের অভিলাষী ।
হয়ত কোনদিন নির্মল রবি জাগবে
চন্দ্রিমার ব্যথা হরে নিয়ে যাবে –
আত্মার উষ্ঞতায় ঢাকবে শরীরের শীতলতা; আনবে
স্রোতহীন সলিলে নব প্রাণের আবিলতা,
ততদিন শুধু অপেক্ষা ।