নাটক, আমরা জানি নাটক বরাবরই কিছু অল্প স্রেনির দর্শকএর প্রিয় বিষয়। অত্তন্ত দ্রুত গতিতে ছুটে চলা সমাজ এর প্রতিটা মানুষ আজ ছুটে চলেছে রঙীন থেকে রঙীনতর মাধ্যমের দিকে। তবু আজও নাটক সহজ,সরল ভাষার মধ্যে দিয়ে এক প্রতিবাদকে আমাদের সামনে তুলে ধরছে।
অবশেষে বহু চেষ্টা, অধ্যায়নের পর গত ২০ এপ্রিল ২০১৭ তে “সংস্তব” এর প্রযোজনায় এবং পার্থ সারথি সেন গুপ্তের নির্দেশনায় টিম ওয়ার্ক এর ফল সরুপ বাগবাজার গিরিশ মঞ্চে মঞ্চস্থ হল ‘ফাউ ‘। অর্থাৎ সেই সংস্থব যার প্রান পুরুষ বা প্রতিষ্ঠাতা হলেন দিজেন বন্ধপাধ্যায়। নাটকটির সুত্রধার হলেন উজ্জল চত্তপাধ্যায়,বিন্যাস সজ্জায় শুভঙকর রায়। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন দশজন সদস্য। নাটকটিতে দেখা গেছে এক মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারকে। যেখানে রয়েছে একজন কওা(কাকু),ভালো পিসি,ভব দুলাল বাড়ির একমাত্র ছেলে, ও একমাত্র মেয়ে ভব মিত্রা(মানকু বা ছুটকি), এছাড়াও রয়েছেন আর কিছুজন সদস্য।
বর্তমান কপোরেট দুনিয়ার সময়ে এসে মানুষ চায় কিছু বাড়তি কিছু ছাড়। লক্ষ করলে দেখা যায় প্রায় বেশিরভাগ মানুষই চায় ফ্রি বা ফাউ। তার পিছনেই এতো ছোটা-ছুটি। কিন্তু এই দুনিয়া তাদের নিজেদের লাভ না রেখে কিছুই দিছছে না সাধারণ মানুষ কে। আর এই বারতা টিই মানুষএর মধ্যে দেওয়া হয়েছে এই নাটকটির মধ্য দিয়ে।
শুধু এই বারতা ই নয়, বারতা প্রকাশ করার মাধ্যম হিসাবে এক সঠিক চেতনা গড়ে তোলার জন্যে একটি মজার বিষয়-বস্তু নির্বাচন করা হয়েছে। বিষয় টি হল একটি কম্পানি সুযোগ দিছছে একটি বিয়ে করলে আর একটি বিয়ে ফ্রি অর্থাৎ একটি বউএর সাথে আর একটি বউ ফাউ। অবশেষএ ফিরবে চেতনা গড়ে উঠবে নতুন সম্পর্ক নতুন বন্ধুত্ব। যা কখন ও ফাউ এর সাথে তুলনা করা যায় না।
সঠিক ছিল নাটক টির দৃশ্য অর্থাৎ যেই পরিস্তিতিতে ঘটনাটি ঘটে নাটকটিকে সেই দৃশ্যে দেখানো হয়েছে। লাইট,শব্দএর কাজ নাটকটিকে আরও বেশি করে যেন পরিপূনতা দান করেছে।