ছোটবেলা থেকেই আমরা সবাই প্রায়
নিজেদের বাবা – মায়ের আদরে স্নেহে বড় হয়েছি,
অথবা কেউ কেউ বাবা কিংবা মাকে
বা কাউকেই ছোটবেলা থেকে পাইনি।
তবুও আমাদের জন্মের জন্য
সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা তোমার বাবা-মায়েরই,
ওটা কি পারবে অস্বীকার করতে?
প্রায় সবাই বলবে, না!
আমরা কেউ এখন ছাত্র,
কেউ বা চাকরির জন্য পাগল হয়ে ঘুরছি,
আবার কেউ চাকরি করছি,
কিংবা কেউ ব্যবসা করছি ।
কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথেই
আর একটা পরিবর্তন করেছি ,
সেটা হলো আমাদের অভ্যেস
নিজেদের বাবা-মায়ের প্রতি।
যে বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য
অন্নের ব্যবস্থা করতে করতে,
সারাটা জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করলো
তাদের আজও নিস্তার নেই ।
আগে পরিশ্রম করতো
নিজেদের সন্তানের জন্য,
আর আজ ঐ পরিশ্রমটা
করতে হয় নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য ।
আচ্ছা এটা যদি আমাদের পরিণতি হয়
ভেবেছো কখনো তখন কেমন লাগবে ?
যখন তোমার সন্তানরা তোমার খেয়াল রাখবে না,
যখন তোমারই সন্তান তোমাকে সহ্য করতে পারবেনা।
আমাদের বাবা-মাকে
একটু রাগ দেখলেই সব মেনে নেয়,
সব কিছু সহ্য করে মুখ বন্ধ করে।
কিন্তু তুমি কি পারবে ওই কষ্টটা সহ্য করতে?
পারবে না?কেন পারবে না?
ওই কাজটা তো তুমিও করেছ একদিন
তোমার বাবা-মায়ের সঙ্গে তখন ভাবোনি
তোমার এমন হলে কেমন লাগতো?
এবার বুঝতে পারছো,
আমাদের সবথেকে প্রিয় মানুষ টা কে?
কার জন্য আজ তুমি এই পৃথিবীতে আছো?
আজ এই কথাটা বুঝতে বড্ড দেরি হয়ে গেল ।
যদি তুমি ঐ সময়টা পেতে,
কথাগুলো বোঝার।
তবুও কি তুমি
তোমার কর্তব্য থেকে এভাবে সরে যেতে?
তুমি কেন পারবে না,
তোমার কর্তব্য পালন করতে?
তবে কি তুমি স্বার্থপর?
তোমরা কি অকৃতজ্ঞ?