“আর্কিমিডিস”, এই বিখ্যাত মানুষটিকে সবাই চেনে, বিজ্ঞান আর গণিতের প্রতি এনার বিশেষ অবদান আজ সবার জানা!
কিন্তু আজ এনার জীবনের একটা অন্য ধাপ লিখছি !! শুরু করি “আর্কিমিডিসের” বিখ্যাত গল্পটা নিয়ে, ওই পাগলের মতো গ্রীস দেশের গলিতে “ইউরেকা – ইউরেকা” বলে চেল্লানো আবার কখনো নিখুঁত ভাবে তারা দেখে গ্রহণের আন্দাজ করে ফেলা আবার পদার্থবিজ্ঞানের এতই নিখুঁত জ্ঞান যে কতবার গ্রীস দেশকে শত্রুদের আক্রমণ থেকে রোধ করেছেন উনি !!
তখন এক জুট মানুষ এই ধারণা করা শুরু করে যে “আর্কিমিডিস” শুধু বিজ্ঞানী বা গণিতজ্ঞ নয়, উনি একটি শন্তিস্থাপক, যিনি গ্রীস দেশের মাটিতে যুদ্ধ,দুর্ঘটনা রোধ করার ক্ষমতা রাখেন আর জনগণের মনে – প্রাণে শান্তি আর আশার আরোহণ করেন!!
তুইও তো আমার কাছে কিছুটা এরকমই
তাইতো তোর নাম রেখেছি “আর্কিমিডিস”
ঐতো সেইদিন তেতলার সিঁড়ি,
দেরি হয় গেছে বলে, ছুটে ওঠা
বই আর ল্যাবের খাতা নিয়ে,
ল্যাবের ভিতর ছুটে ঢোকা!!
টেস্ট – টিউব নিয়ে তোর দৌড়া দৌড়ি
ল্যাবের খাতা জমা দেওয়ার তারা
ল্যাব কোটে নিজের ঘামটা পুছে,
কষ্টে – মষ্টে পুরো কাজটা সারা!!
প্রাকটিক্যাল আর থিওরির মাঝে,
হুড়োহুড়ি, করে টিফিন খাওয়া,
থিওরি ক্লাসটা শেষ হলেই,
এস্ক্যালাটরে চড়ে একসাথে পড়তে যাওয়া!!
ভালইতো ছিলো এত কিছু,
কিন্তু আসতে করে একটি ছেলে তোর জীবনে ঢোকে,
সিগারেটের টানে কতো মেয়েদের সাথে সে বিন্দাস হেঁসে বেড়ায়
ফেলে কিছুটা চাপে তোকে!!
সেই হাসি – খুশি থাকা মেয়েটিকে,
আমি নিজের কানে কাঁদতে শুনেছি,
মানসিক হবে লড়াই করে,
আমি তাকেই আবার হাসতে দেখেছি!!
তোর মিষ্টি গলায় , নীল শাড়িতে প্রথম শোনা রবীন্দ্র সঙ্গীত (মাঝে মাঝে তব দেখা পাই), নাহয় তার জন্যই থাক,
যে চির দিন তোকে দেখার অপেক্ষা করে,
যে মর্যাদা আর ধর্য্য রেখে,
বার বার আগলে শুধু তোকেই ধরে!!
আমি তোর মধ্যে কতকিছুই যে দেখি,
দেখেছি, হুটোপুটি করা এক মেই,
দেখেছি, একটা ভালো বন্ধু,
দেখেছি, আশা আর সাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা
দেখেছি, একটা যোদ্ধা, একটা নারী
দেখেছি, নিজের ভালোবাসা,
দেখেছি, নিজের শান্তি,
আর মানুষ নিজের ভালোবাসা ভুলতে পারে, নিজের শান্তি নয় !!
“তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা”, “কতবার ভেবেছিনু আপণা ভুলিয়া” , এরম কত ” রবীন্দ্র সঙ্গীতের ” মাঝে শুধু তোকেই খুঁজে পাই,
“আর্কিমিডিস তুই শান্তি আমার, তোকে ভালোবেসে এই নামেই ডাকতে চাই”!!