বয়স আমার পঁয়ষট্টি–পাক ধরেছে চুলে,
চামড়া গুলো দেখছি গায়ের যাচ্ছে কেমন ঝুলে।
হাঁটতে গেলেই হাঁটুর বাতে পা করে টনটন,
কোমর ঘাড়ের একই দশা–করছি যোগাসন।
মরার ওপর খাঁড়ার ঘা–মধুমেহও সাথী,
তাই কোভিড হলে অবশ্যই জ্বলবে লালবাতি।
তবে আশার কথা এযাত্রা নিভবে না ত’ শিখা,
বাজারেতে এসেই গেছে জীবনরক্ষা টীকা।
আসছে মাসে সুযোগ পেলেই নাম লেখাবো আগে,
দু দফার ওই টিকা নিতে তিন সপ্তা লাগে।
কিন্তু টীকা নিয়ে কারো কারো জীবন সংশয়ে,
যা শুনে হায় প্রিয়জনের হৃদয় কাঁপে ভয়ে।
সে যাই হোক তবুও আমি হটবো নাকো পিছু,
প্রতিষেধকের প্রতিক্রিয়া–হতেই পারে কিছু।
টীকা নিলে নিশ্চিতই রোগের প্রকোপ কম,
কোভিড হলেও থাকবে না আর তার মারণ দম।
টীকার গুণ আটটি মাসের– এক্কেবারে পাকা.
তাই বছর বছর টীকা হবে মোদের পরম সখা।
তবে আগামী দিনে দেখবে সবাই টীকার রকমফের,
বিডেন টীকা, পুতিন টীকা – আসবে টীকা ঢের।
কিন্তু সবার ওপর টেক্কা দেবে মোদের দেশের টীকা,
যার সঙ্গে জোট বেঁধেছে বৃটিশ বরিস কাকা।
চীন দেশের অচিন রোগে দুনিয়া তোলপাড়,
কোটি কোটি বিশ্ববাসীর অচিরে সংহার।
তাইতো বলি বাঁচতে গেলে টীকা আবশ্যিক,
সেলাম জানাও কোভিড বীরে–মহৎ ও নির্ভীক।
জানবে তাঁরাই এই সমাজের প্রধান দিশারী,
সত্যকারের “সেলিব্রিটি” – পুরুষ কিংবা নারী।
প্রমাণ তাঁরা করেইছেন টীকায় ত’ নেই বিষ,
তাঁদের জন্য রইল আমার অনন্ত কুর্নিশ।
হয়ত বা কেউ পেতেই পারে প্রতিক্রিয়ার ভয়,
রক্তটাকে পাতলা রাখার ওষুধ খেতে হয়,
সবাইকেই বলছি আমি–ভয় পেয়ো না মোটে,
তবে ডাক্তারের শলাই শেষে শিরোধার্য বটে।
ভারতবাসী দেখিয়ে দিল মেধা কাদের বেশী,
যার প্রতি কণায় জড়িয়ে আছে যুদ্ধ জয়ের খুশী।
———————————————————-
স্বপন চক্রবর্তী।