স্প্যানিশ ভাষায় চুপাকাব্রাস শব্দের মানে হল ‘goat sucker’ বা ‘ছাগলের রক্ত চোষা প্রাণী’। স্প্যানিশে ‘chupar’ মানে চোষা আর ‘cabra’ মানে ছাগল।
এই অদভুত জীবটির কথা প্রথম শোনা যায় পুয়ের্তো রিকো-তে, ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে। সেখানে আটখানা ভেড়াকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। দেহে কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি, শুধুমাত্র বুকের কাছে তিনটি ছোট ছিদ্র দেখা যায়, ঠিক দাঁত বসালে যেমন হয়। তাদের পুরোপুরি রক্তশূন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, অর্থাৎ রক্ত চোষার ফলেই তাদের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর আগস্ট মাসে পুয়ের্তো রিকো-র অন্য একটি শহর কানোভানাস-এ একজন প্রত্যক্ষদর্শী এই অদ্ভুত প্রাণীটিকে দেখেন এবং তার আক্রমণে প্রায় ১৫০ টি গৃহপালিত ও খামারের পশুও ঠিক একইভাবে মারা যায়।
একইভাবে অন্যান্য দেশেও অনেক গৃহপালিত ও খামারের পশুপাখীদের মৃত্যু হয়।
২০০৭ এর মে মাসে ন্যাশানাল কলোম্বিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায় ঠিক একই ভাবে ৩০০ ভেড়ার মৃত্যু হয়।
২০০৮, জানুয়ারি ১১, ফিলিপিন্সের বারাঙ্গায় প্রদেশের স্থানীয় লোকেদের থেকে শোনা যায় সেখানে ৮ টি মুরগি এই চুপাকাব্রাসের আক্রমনে মারা যায়।
লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশেও যেমন আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি, এল সাল্ভাদর, পেরু, ব্রাজিল, মেক্সিকো-তেও এই চুপাকাব্রাসের কথা শোনা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া চুপাকাব্রাসের বিবরণ অনুযায়ী – এটি একটি আঁশযুক্ত সবুজাভ ধুসর বর্ণের সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী, পিঠের কাছে খাঁজ বা খর্গ যুক্ত এবং সেটি প্রায় লেজ অব্দি বিস্তৃত। প্রায় তিন থেকে চার ফুট লম্বা এবং অনেকটা ক্যাঙ্গারুর মত লাফিয়ে লাফিয়ে চলে।
আবার কেউ কেউ বলে এটি নাকি একধরনের লোমহীন বিরল প্রজাতির মেক্সিকান কুকুরের মত দেখতে।
তবে আরও দুটি প্রাণী- চিলির ‘পেউচেন’ ও ফিলিপিন্সের ‘সিগবিন’-এর সাথে এই চুপাকাব্রাসের সাথে সাদৃশ্য পাওয়া গেছে।