যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো– বলেছিলে তুমি সেদিন,
কিন্তু সহসা চলে গেলে কেন থামিয়ে হৃদয় বীণ !
দেহের শকতি নি:শেষি নিল কোন্ অদৃশ্য ঘাতক !
জাগ্রত তব কবিত্ব আজও–ওগো বংগ জাতক।
স্বাভাবিক কবি ভূষণটি ছিল–ভাবনি ত’কি যে
ভাববো’,
সৃষ্টি করেছ অন্তর হতে স্বতোৎসারিত কাব্য।
এলোমেলো করে দিয়ে গেলে সব–হে কবি বাঁধনছাড়া,
পিছে রয়ে গেল অতুল কীর্তি–বুঝি সে অকুল পারা।
পাড়ি দিলে হায় কোন সুদূরের অমৃতলোক তরে,
বাংলার মাটি তোমায় কি কভু বিষ্মৃত হতে পারে !
তুমি নেই তবু তুমি আছ হিয়ার মাঝারে সবাকার,
ঝড় আসি হায় ছুঁড়ে নিয়ে গেল বীণার কয়টি তার।
এ কালে কাব্য তোমার তুলিতে পেয়েছে নতুন ভাষা,
হে অগ্রদূত–জানাই তোমারে বুকভরা ভালবাসা।
মোদের জীবনে হুল্লোড় তুলে কোথায় গেলে যে কবি !
অন্তর পটে চিরতরে আঁকা রয়ে গেছে তব ছবি।