ওরা ছিন্নভিন্ন করেছে তোমার শরীর।
দিয়েছিলাম মাটি ঢেকে তোমার ক্ষতস্থানে,
তবুও বন্ধ হয়নি রক্তের স্রোত।
ভিজেছে রাস্তা সেই রক্তের কোলাহলে।
যারা হেসেছিল, সেই হর্ষধ্বনিতে
চিড় ধরেছিল প্রলেপ দেওয়া মাটিতে।
অমানবিকতার প্রাচীরে তখন লক্ষ চিৎকার,
উল্লসিত, উৎফুল্ল তারা।
তাদের উল্লাসের স্রোতে ভেসে
লক্ষ চিৎকার উড়িয়েছে কাপড়,
উড়িয়ে ধুলো ঢেকেছে তোমার মুখ
তোমারই আঁচল দিয়ে।
তবুও তো তুমি করেছ তাদের ক্ষমা।
ক্ষমা তো সবাই চেয়েছে ওরা,
বলেছে ক্ষমা করার কথা।
তবুও কি সত্যই যায় করা ক্ষমা?
দুটি মাত্র বর্ণের শব্দ।
বিশেষত্ব কি শুধুই ‘ক্ষ’ এ?
না কি ক্ষ এর শেষে ‘মা’ এ?
ক্ষ এর সাথে জুড়ে আছে ক্ষত, ক্ষয় এর চিহ্ন;
মা এর সাথে জুড়ে আছে ক্ষমার পুণ্য অঙ্গ।
ক্ষমার শেষে বৃষ্টি নামে,
তবুও ধৌত হয় না অঙ্গার।
সময় ভুলিয়ে দেয় সবই,
তবুও ভোলে না মা তার পণ।
ব্যস্ত এই পাতালপুরীতে শুধু
জেগে থাকে অপরাধী মন।
অমানিশা
Subscribe
Login
0 Comments
Oldest