পৃথিবীতে আলো দেবার দায়িত্বভার কাকে দেওয়া যায় এটা আলোচনা করার জন্য একদিন সব দেবতারা একত্রিত হলেন। তবে এই দায়িত্ব দুজনকে দিতে হবে। একজন রাত্রিবেলা আলো দেবে এবং অপরজন দিনের বেলা।
দেবতারা সকলে একটি অগ্নিকুণ্ডের সামনে একত্রিত হলেন। সেখানেই স্থির হবে যে কে পৃথিবীতে আলো দিতে যাবে। যখন তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেন যে কে দিনের বেলায় আলো দেবার জন্য প্রসতুত, তাদের মধ্যে সবচেয়ে উদ্ধত দেবতা, তেকুসিজতেকাতল, তৎক্ষণাৎ বলে উঠলেন যে তিনি দিনের বেলায় পৃথিবীর বুকে আলো দিতে রাজী আছেন। কারণ তিনি জানতেন যে পৃথিবীতে তিনিই হবেন সবচেয়ে উজ্জ্বল।
এরপর রাত্রিবেলা কে পৃথিবীতে আলো দেবেন তাঁর নির্বাচনের পালা। কিনতু কেউ এই কাজটি করতে রাজী হচ্ছেন না। কারণ তাঁকে সবসময় তেকুসিজতেকাতল-এর ছায়ায় থাকতে হবে। কেউ রাজী হচ্ছেন না দেখে অবশেষে সবচেয়ে কুৎসিত দর্শন, নম্র ও বিনয়ী দেবতা নানাউয়াতজিন কে ডাকা হল। তিনি অন্যান্য দেবতাদের প্রস্তাব মেনে নিলেন এবং পৃথিবীতে রাত্রিবেলা আলো দেবার জন্য রাজী হয়ে গেলেন।
এবার এই দুজন দেবতার আগুনের মধ্যে ঝাঁপ দেবার পালা, তবেই তাঁরা সূর্য এবং চাঁদ এ রূপান্তরিত হতে পারবেন। তেকুসিজতেকাতল সর্বদা উদ্ধত স্বভাবের, তাই সে প্রথম এ আগুন এ ঝাঁপ দিতে চাইলেও ভয়ে ঝাঁপ দিতে পারলেন না। এরপর দেবতারা নানাউয়াতজিন কে আগুনে ঝাঁপ দিতে বললেন এবং তিনি দেবতাদের আদেশ মান্য করে আগুনে ঝাঁপ দিলেন। তাঁকে দেখে তেকুসিজতেকাতলও আগুনে ঝাঁপ দিলেন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা সূর্য ও চাঁদ এ রূপান্তরিত হয়ে গেলেন। কিনতু যেহেতু তেকুসিজতেকাতল শেষে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তাই তিনি চাঁদ-এ এবং নানাউয়াতজিন সূর্যে রূপান্তরিত হলেন।
অনুবাদক – কৌশিক দাশ