আদুরি
(১)
-মা,আর কতক্ষণ? ছোট্ট আদুরি-র ক্ষুধার্ত চোখ জিজ্ঞাসা করে ওঠে।
-এই তো আর একটু ধৈর্য ধর সোনা আমার। বাবা এক্ষুনি এসে পরবে চাল নিয়ে, তারপর আমি তোকে ভাত রান্না করে দেব।দরজা দিয়ে সুমনা তাকিয়ে দেখে রাস্তার দিকে।
জয়দেব সকাল সকাল বেড়িয়ে গেছে। বলে গেছে আজ নাকি ওদের কারখানার মালিক আসবে ওদের ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলতে। এছাড়া বকেয়া বেতনের কিছুটা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজ পাঁচমাস হল কারখানা বন্ধ। সংসার চালাতে জমা পুঞ্জী সব শেষ। ঘটি-বাটি বন্দক দেওয়ার উপক্রম হয়েছে। মেয়েটার স্কুলের মাইনে দিতে পারছে না। এদিকে পেট ভরে দুবেলা খেতে না পেয়ে ফুলের মত ছোট্ট মেয়েটি চোখের সামনে শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই জয়দেব কথা দিয়ে গেছে, কোন সুরাহা না করে আজ আর বাড়ী ফিরবে না।
সুমনা আঁচলের খুটো দিয়ে চোখের জল মুছে নিয়ে আদুরি কে বলে, বাবা আজ বলে গেছে তোমার জন্য কেক নিয়ে আসবে।
-সত্যি বলছ মা? বাবা আজ কেক নিয়ে আসবে? আনন্দে কচি গালগুলো লাল হয়ে উঠল।
-তুমি একটু বসে বসে ছবি আঁক। আজ তো ১৫ই আগস্ট, স্বাধীনতা দিবস। তাই স্কুল ছুটি।
-তাই! স্কুল ছুটি হওয়ার আনন্দ তাকে স্পর্শ করল না। বরং এই কয়েক মাসে আনন্দময়ী শিশুবিদ্যামন্দিরের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীটি বুঝে গেছে যে স্কুলে গেলে অন্তত দুপুরবেলা পেট ভরে খেতে পারবে। বাড়ীতে থাকলে কোনদিন ফেনাভাত নুন দিয়ে, অথবা পাতলা আলুর ঝোল দিয়ে কোনোরকমে খেতে হবে। তাই অসহায় ভাবে সে মাকে জিঞ্জাসা করে, স্বাধীনতা দিবস মানে কি? কেন আজ ছুটি?
মা বলে, আজ সবার ছুটি। সবাই নিজের মত যা খুশী করতে পারবে। আজ সবাই স্বাধীন।
(২)
জয়দেব সকাল সকাল চলে এসেছে কামালডিহি জুট মিলে। মেইন গেটের সামনে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে। সেই অনেকদিনের চেনা মুখগুলো এক এক করে জড়ো হচ্ছে। অভাব আর অনটনের দিন গুনতে গুনতে শুকিয়ে যাওয়া মুখগুলি আজ যেন মুক্তিলাভের আশায় শেষ নিঃশ্বাসটুকু সম্বল করে এখানে এসেছে। আজ তাদের প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের পালা। বেকার পরিচয় থেকে, ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করে বিনিদ্র রাত কাটানোর থেকে, অপরাধ জগতের অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া থেকে, এমনকি জীবনের মায়া ত্যাগ করার থেকে আজ তারা মুক্তি পেতে চলেছে। আজ আর কোন ভেদাভেদ নয়, কেউ হিন্দু নয়, কেউ মুসলিম নয়, কেউ লাল নয়, কেউ নীল নয়, আজ সবাই জীবনযুদ্ধের স্বাধীনতা সংগ্রামী। আজ তাদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের শেষ পর্যায়। আজ মালিকের বিরুদ্ধে শ্রমিকের, পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে গরীবের, শোষকের বিরুদ্ধে শোষিত মানুষের সংগ্রাম। এককালে তাদের পূর্বপুরুষেরা আজকের দিনে যে স্বপ্নের জন্য দেশজুড়ে আন্দোলনে মেতে উঠেছিল, আজ সেই স্বপ্ন তাদের চোখেমুখে।
সদর গেটে ঝুলছে মস্ত বড় তালা আর সেই কলঙ্কমাখা লক-আউটের নোটিশ। গেটের একপাশে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট্ট একখানি মঞ্চ। মঞ্চের বাঁ-পাশে পতাকা উত্তোলনের স্তম্ভ। মাইনে করা রক্ষীরা গেট ও চারিদিক আগলে রেখেছে শান্তি বজায় রাখার জন্য। কারখানা বন্ধ থাকলেও একমাত্র তারাই নিয়মিত বেতন পেয়ে যাচ্ছে, তাই তাদের কর্তব্য পালনে কোনরকম অনীহা নেই।
এদিকে ছোট্ট আদুরি আর ধৈর্য রাখতে না পেরে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ে। মা বলেছে আজ স্বাধীনতা দিবস, সবাই যা খুশী তাই করতে পারে। সে চায় আজ মন ভরে চকোলেট খেতে, যত খুশী খেলতে, ভালো জামা-কাপড় পড়ে ঘুরতে জেতে, যার কোনটাই সে কোনোদিন পায় নি।
সামনের মাঠের দিক থেকে বেশ সুন্দর খাবারের গন্ধ ভেসে আসছে। আদুরি সেই গন্ধের দিকে মন্ত্রমুগ্ধের মত ছুটে চলল।পুকুরের পাড় ধরে ছোট ঝোপ-ঝাড়ের আড়াল ভেদ করে যখন সে ফাঁকা মাঠে এসে পড়ল, তখন দেখল যে একদল লোক সেখানে গান-বাজনা করছে, রান্না করছে, হই-হুল্লোড় করছে। বাচ্চা, বড় সবাই আছে তাদের মধ্যে। হাওয়ায় ভেসে আসছে লুচি ভাজার গন্ধ। একখানা চাদর টানিয়ে রান্নার জায়গাটা কিছুটা আড়াল করা হয়েছে।
-একটা লুচি দেবে? সকাল থেকে কিচ্ছু খাই নি।আদুরি করুন সুরে রান্নার জায়গায় গিয়ে বলল।
-এই যাঃ এখান থেকে। কিচ্ছু হবে না। তাড়াতাড়ি পালা বলছি নাহলে খুব মার খাবি। অমিত, এদিকে একটু খেয়াল রাখিস তো, বাইরের লোক ঢুকে পড়ছে। রমেশ তার অফিসের বন্ধুর উদ্দেশ্যে চেঁচিয়ে ওঠে। সে আর তার অফিসের প্রায় জনা পঁচিশেক লোক মিলে আজ এখানে এসেছে পিকনিক করতে।
-খুব ক্ষিদে পেয়েছে, একটা দাও না! আর্তি আরও বেদনামাখা হয়ে ওঠে।
-ওঃ আবার! বিরক্তি ঝরে পড়ে রমেশের কথায়। আদুরির ছেঁড়া ফ্রক ও মলিন চেহারা দেখে ওকে ভিখারী ভাবতে ভুল হয় না। রাস্তা-ঘাটে-ট্রেনে-বাসে সবসময় এদের উপদ্রব সহ্য করতে হয়। পিকনিকে এসেও যে রেহাই মিলবে না তা ধারনার বাইরে ছিল।কিন্তু এই পৃথিবীতে সব মানুষই যে ভিক্ষারী সেটা উপলব্ধি করার সময় বোধহয় তার নেই। কেউ ভগবানের কাছে ধন-দৌলতের জন্য, কেউ মালিকের কাছে টাকার জন্য , কেউ জনগণের কাছে ভোটের জন্য, কেউ আবার বিচারের আশায় আদালতের কাছে, সবাই কোন না কোন ভাবে ভিক্ষে করে যাচ্ছে।
আদুরিকে ঠায় লোলুপ দৃষ্টিতে খাবারের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে রমেশের হঠাৎ একটা বুদ্ধি খেলে গেল মাথায়। তার মনে পড়ল অফিসের বসের জন্য একজন সবসময়ের কাজের লোকের দরকার। সেটা জোগান দিতে পারলে কিছু যেমন উপরি পাওয়া যাবে তেমনি বসের নেক্ নজরে আসা যাবে। তাই আদুরিকে ডেকে বলল,
-এই মেয়েটা, খিদে পেয়েছে, কিছু খাবি। দিতে পারি কিন্তু আমার কিছু কাজ করে দিতে হবে। পারবি?
আদুরির পেটের খিদের কাছে কাজের ভয় পরাস্ত। তাই তক্ষুনি সে ঘাড় নাড়িয়ে জবাব দেয়,
-খুব পারব।
-তাহলে সামনের পুকুর থেকে এক বালতি জল নিয়ে এসে এই এঁঠো প্লেটগুলো ধুয়ে দে। দেখি কেমন পারিস্! তাহলেই খাবার পাবি।
রমেশের কথামত, আদুরি তার নাম ও ভাগ্যের পরিহাসের প্রতিবাদ করতে কাজে লেগে পড়ল। কষ্ট করে পুকুর থেকে জল নিয়ে এল, বসে বসে প্লেট মেজে-ধুয়ে রাখল। এদিকে খিদের জ্বালায় হাত একেবারে চলছে না, তবু মুখ বুজে প্রাণপণ চেষ্টা করতে লাগল তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার। সব শেষ করে যখন সে রমেশের কাছে খাবার চাইল, তখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে।
(৩)
কারখানার গেটের সামনে কয়েকশো লোক ঠাসা। দুপুরের রোদের তেজ যত বাড়ছে, ঘড়ির কাঁটা যত এগিয়ে চলেছে, তত বুভুক্ষু মানুষগুলোর উত্তেজনা বাড়ছে। কেউ কেউ স্লোগান দিচ্ছে- আমাদের দাবি মানতে হবে, কেউ আবার গেটের রক্ষীর কাছে গিয়ে জানতে চাইছে কোন খবর এল নাকি! জয়দেব একটা দোকানের গায়ে হেলান দিয়ে মাথা নিচু করে বসে রয়েছে। ক্ষিদে ও তেষ্টায় শরীরের সব শক্তি যেন শেষ। হঠাৎ লোকজনের চেঁচামেচিতে সে উঠে বসে। দেখে স্টেজের উপর থেকে কে একজন ঘোষণা করছে যে মালিকপক্ষ আজ আসবে না। মালিকের শরীর খারাপ হয়েছে। দেখতে দেখতে সব লোক গেটের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে। রক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সবাই গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা স্লোগান দিতে শুরু করে, মালিকের কালো হাত গুড়িয়ে দাও-ভেঙে দাও। কুশ-পুতুল দাহ করা হয়। কারখানার দিকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়া শুরু হয়। মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে জায়গাটা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আশেপাশের দোকানের ঝাঁপ পড়তে শুরু করে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ইতিমধ্যে পুলিশের ভ্যান পৌঁছে যায়। উন্মত্ত জনতার উপর লাঠি চালান শুরু হয়। জয়দেব তার চোখের সামনে দেখতে পায় তার সহকর্মীরা একে একে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। পুলিশ ধরে ধরে তাদের ভ্যানে তুলছে। সে হতচকিত হয়ে কি করবে বুঝতে পারে না। কিছুক্ষণ এইভাবে কেটে যাওয়ার পর তার সম্বিত্ ফেরে। এক ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে ঢুকে পড়ে সামনের এক বেকারীর দোকানে। দোকানের মালিক দোকান বন্ধ করার জন্য ব্যস্ত। সেই সুযোগে সে দোকান থেকে একটা কেক ও পাউরুটি নিয়ে দৌড় লাগায়।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামার পথে। পড়ন্ত রোদে মাঠের মধ্যে দীর্ঘতর ছায়াগুলি ঘুরে বেড়াচ্ছে। রমেশ আর তার সহযোগীরা ব্যস্ত সবকিছু গুছিয়ে গাড়ীতে তোলার জন্য। আদুরি দেখছিল তার মত কয়েকজন ছোটছোট ছেলেমেয়ে কি সুন্দর সুন্দর জামাকাপড় পড়ে খেলা করছে। তাদের বাবা-মা তাদেরকে কতকিছু খেতে দিচ্ছে। ছোট্ট আদুরির মনে প্রশ্ন জাগে- এটাই কি তাহলে স্বাধীনতা! সবাই আনন্দ করছে, খাচ্ছে-দাচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাহলে তারা কেন এত কষ্ট করে আছে?
-এই মেয়ে,তোর নাম কি? তোর বাড়ী কোথায়, কে কে আছে? রমেশ প্রশ্নগুলো ছুড়ে দেয় আদুরির দিকে।
-আমার নাম আদুরি। আমার বাড়ী ঐ ঝোপের ওপারে, বাবা-মা আছে বাড়িতে।
-আমরা তো চলে যাচ্ছি, তুই যাবি আমাদের সঙ্গে?
-কোথায়?
-অনেক দূরে। সেখানে কত গাড়ী চলে, কত লোকজন, হৈ-চৈ, সবাই আনন্দে থাকে। রোজ পেটভরে এরকম ভালো ভালো খেতে পারবি, সুন্দর সুন্দর জামাকাপড় পড়তে পারবি, নানারকম খেলনা পাবি।রমেশ নানা লোভ সৃষ্টি করতে থাকে ছোট্ট শিশুটির মনে।
-স্বাধীনতা পাব?
আদুরির এইরকম অদ্ভুত প্রশ্নে একটু বিস্মিত হয়ে যায় রমেশ। এই ছোট্ট মেয়েটি স্বাধীনতার কি বোঝে! কিন্তু সামলে নিয়ে বলে- হ্যাঁ আমরা তো সবাই স্বাধীন। তুমিও তাই।
আদুরি এটা শুনে খুব খুশি হয়ে বলল- তাহলে বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে আসি।
এবার রমেশ বিপদ বুঝতে পারে। –বাবা,মাকে লাগবে না। তাদের আমরা পরে নিয়ে যাব। একসঙ্গে তো এত লোক গাড়ীতে জায়গা হবে না।
এবার আদুরির মন যেন একটু কেমন করে ওঠে। -তাহলে আমি মাকে বলে আসি। সকালে তো না বলে বাড়ী থেকে চলে এসেছি। মা খুব রাগ করবে।
-মা রাগ করবে না। আমি তোমার মাকে বুঝিয়ে বলে দেব। এখন তাড়াতাড়ি গাড়ীতে উঠতে হবে। নাহলে সবাই আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। চল-চল। রমেশ আদুরিকে নিয়ে গাড়ীতে উঠে পড়ে।
(৪)
সন্ধ্যের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে জয়দেব বাড়ীর দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। আস্তে করে দরজার কড়া নেড়ে চাপা গলায় ডাকে-সুমনা, দরজা খোল, আমি এসেছি।
দরজা আলগোছে ভেজান ছিল, নিজেই খুলে গেল। জয়দেব ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দেয়। টিমটিমে মাটির প্রদীপের আলোয় দেখতে পায় সুমনা অবিন্যস্ত অবস্থায় মাটিতে শুয়ে কাঁদছে। জয়দেব কিছু বুঝতে পারে না।
-আরে কাঁদছ কেন? এই দেখ আমি পাউরুটি আর কেক নিয়ে এসেছি। আদুরি কোথায়?
সুমনার কান্নার স্বর দ্বিগুণ বেড়ে যায়। জয়দেবের পা জড়িয়ে ধরে বলে- আদুরিকে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সকাল থেকে মেয়েটা কিচ্ছু খেতে না পেয়ে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যায়। আমি অনেক খুঁজেছি, কোথাও পাচ্ছি না। জয়দেবের হাত থেকে সবকিছু পড়ে যায়। সে কিছু ভেবে উঠতে পারছে না, একটা বাচ্চা মেয়ে একা একা কোথায় যেতে পারে! সুমনা কে মাটি থেকে তুলে ধরে বলে- আশেপাশের বাড়ীগুলোতে খোঁজ করেছিলে? কোথায় আর যাবে, দেখ কারুর সঙ্গে খেলতে খেলতে বাড়ীতে চলে গেছে বোধহয়।
-না, না, কোথাও নেই। আমি সব বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ করেছি। আবার কান্নায় বুজে আসে তার গলা। আমার আদুরিকে তুমি ফিরিয়ে নিয়ে আস।
-দাঁড়াও দাঁড়াও, ভাবতে দাও আমায়। এদিকে খুব গণ্ডগোল হয়েছে আজ কারখানায়। সব আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। কারখানায় আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছে। পুলিশ জনে জনে খুঁজে বেড়াচ্ছে। জানতে পারলেই এখান থেকে ধরে নিয়ে যাবে।তার মধ্যে আমি দোকান থেকে মেয়েটার জন্য কেক চুরি করে নিয়ে এসেছি। এবার থেকে আমাকে চোর বলে ডাকবে সবাই। কি করব কিছুই মাথায় আসছে না। এদিকে মেয়েটা…ভেঙে পরে জয়দেব।
-মেয়েটাকে ছাড়া আমি বাঁচব কি করে। আমার তো আর কিছুই নেই। একমাত্র আদুরির জন্য বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। তা নাহলে কবে সব ছেড়ে চলে যেতাম।
-চল আজ রাতেই আমরা এখান থেকে কোথাও চলে যাই। এখানে আর কিছু করার উপায় দেখছি না, তার উপর একবার চোর বদনাম লেগে গেলে আর কেউ কাজ দেবে না। আমাদের মেয়েকে খুঁজে বের করতে হবে। এটাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। জয়দেব সুমনার দিকে তাকায়। যাবে সুমনা?
-হ্যাঁ চল। আদুরিকে ছাড়া আমি এক মুহূর্ত থাকতে পারব না ।
গভীর রাতে দুজনেই ঘর ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি দিল। পড়ে রইল কেক আর পাউরুটি।
~ আদুরি ~