পাড়াটা কলকাতার বেশ বিখ্যাত এলাকা – সাউথ সিটি মল, যোধপুরপার্কের খুব কাছেই। আজ সেই পাড়ায় একটা বিশাল ত্রিশতলা মাল্টিস্টোরীড বাড়ীর সামনে বেশ কিছু লোকের ভিড়, দুটো পুলিশের গাড়ী দাঁড়িয়ে আছে। পাড়ার ছেলে ছোকরাদের ভিড় করে আসার অবশ্য কারণ আছে, এই বাড়ীর পনেরোতলায় একটা বিশাল ফোর বেডরুম ফ্ল্যাটে টালিগঞ্জের বিখ্যাত অভিনেতা দেবশঙ্কর, মানে দেবশঙ্কর চ্যাটার্জী, তাঁর অল্প বয়সী বউ মৌমিতার সাথে থাকেন, এই বছর দুয়েক হোল।

আজকের ব্যাপারটা অবশ্য খুব একটা আনন্দের নয়, একটু আগেই একটা অ্যাম্বুলেন্সে মৌমিতাকে কাছেই একটা নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, শরীরে আর মাথায় চোট নিয়ে উনি অঞ্জান হয়ে গেছেন, কোমায় রয়েছেন। ব্যাপারটা একটু গোলমেলে, বাড়ীর ভেতর দেবশঙ্কর ছাড়াও বিখ্যাত ডাইরেক্টার তমাল রায়চৌধুরীকে পাওয়া গেছে। দেবশঙ্কর অবশ্য নিজেই পুলিশে ফোন করেছেন, কিন্তু ডোমেস্টিক ভাইওলেন্সের অ্যাঙ্গেল-কে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

দেবশঙ্করের সাথে মৌমিতার আলাপ অ্যাক্টিং-এর সেটেই। মৌমিতাও বেশ ভালো অভিনেতা, কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই টিভি সিরিয়ালের রোলেই ব্যাস্ত থাকে। সেই সময়ে দেবশঙ্করও উঠতি নায়ক, সবে গোটা দুয়েক মুভিতে নেমেছে। এই সময় মৌমিতা উঠতি ডাইরেক্টার তমাল রায়চৌধুরীর “কলকাতার কাছেই” ছবিতে একটা ছোট রোলে অভিনয়ের জন্য টালিগঞ্জের ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে যাতায়াত শুরু করেছিল, অবশ্য ততদিনে মৌমিতা টিভি সিরিয়ালে একজন নিয়মিত অভিনেত্রী। সেটেই দেবশঙ্করের সাথে তার আলাপ এবং ঘনিষ্ঠতা। অবশ্য তখন দেবশঙ্কর তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী কানোয়ারের সাথেই থাকেন, কিন্তু স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। প্রথম বিয়েটা দেবশঙ্করের বেশ তাড়াতাড়িই হয়েছিল, কলেজ লাইফের প্রেম, আর তখন তো দেবশঙ্কর বিখ্যাত অভিনেতা ছিল না, ছিল মেডিক্যাল রিপ্রেসেন্টেটিভ।

ভালো চেহারার জন্য কেমিস্ট্রিতে গ্র্যাজুয়েট করার পরেই চাকরিটা পেয়ে গিয়েছিল, আর কানোয়ারের সাথে বিয়ে তারপরেই। আর এই অভিনয়ের সুযোগও এসেছিল সেই রিপ্রেসেন্টেটিভ চাকরীরই জন্য, একদিন পার্ক স্ট্রীটের বিখ্যাত ডাক্তার পাকরাসীর চেম্বারে যেতে হয়েছিল, আর ওখানে তখন বিখ্যাত ডাইরেক্টার চিরদীপ রায় বসে আছেন। চেহারা দেখে বোধহয় পছন্দ হয়েছিল, ফোন নাম্বার দিয়ে টালিগঞ্জের স্টুডিওতে আসতে বললেন। ব্যাস, মাত্র আধঘণ্টার অডিশান নিয়ে পরের বইতে অফার দিলেন, তারকা দেবশঙ্করের জন্ম হোল।

এই সিনেমাই অবশ্য কাল হোল, অভিনয় জগতটা একটু আলাদা … এখানে পার্টি, হুল্লোর একটু তো থাকবেই। সেই সঙ্গে পার্টিতে একটু আধটু বিয়ার বা ওয়াইন বা হুইস্কি ইত্যাদিও চলবে, অসংখ্য সুন্দরী নায়িকা বা উপ-নায়িকার সাথে আড্ডা দেওয়া তো আছেই। তা কানোয়ার পাঞ্জাবের গ্রামের মেয়ে, কলকাতায় পড়তে এসে বাঙালী ছেলের প্রেমে পরেছিল, কিন্তু এতো মর্ডান আর ফাস্ট লাইফস্টাইল খুব একটা বরদাস্ত করতে পারলো না। বেশ রাত্রে নেশা করে দেবশঙ্কর বাড়ী ফিরলে প্রথম প্রথম অশান্তি হোত, অবশ্য পরেরদিন আবার সেটা কেটেও যেত। কিন্তু বাধ সাধলো গসিপ ম্যাগাজিন, সেখানে দেবশঙ্করের অন্যান্য নায়িকার সঙ্গে ছবি বা তার গল্প কানোয়ারের পক্ষে একটু বেশি হয়ে গেল, বিয়ের পর তখনও দু বছরও হয়নি, দেবশঙ্করের পরপর দুটো মুভি হিট করলো, একটা চিরদীপ আর একটা তমাল রায়চৌধুরির সাথে, জীবনে খ্যাতি আর টাকা দুটোই এলো কিন্তু প্রথম জীবনের ভালোবাসা কানোয়ার নিঃশব্দে একরাশ অভিমান নিয়ে কলকাতা ছেড়ে দিল্লীতে তার কাকার কাছে চলে গেল, হয়তো নতুন জীবনের সন্ধানে।

 

********

 

লোকাল থানার পুলিশ অফিসার সুবল দত্তবনিক যখন দেবশঙ্করের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করলেন তখন প্রথমে একটু চোখ ধাঁধিয়ে গেল। বিত্তশালী ফ্যামিলীতে ওনাদের মাঝে মাঝেই যেতে হয় কিন্তু কোন মুভিস্টারের ফ্ল্যাটে এই প্রথম। ফ্ল্যাটের ভেতরটা দেখবার মতো, বাড়ীর সব কিছুর মধ্যেই এমন লাক্সারী বিচ্ছুরিত হচ্ছে, এমন পয়সার গন্ধ চারিদিকে যা সহজে দেখা যায় না। প্রথমে ঢুকেই বেশ বড় একটা লাউঞ্জ, পুরো ফ্লোরটাই সাদা মার্বেলে বাঁধানো, বেয়াল্লিশ ইঞ্চির একটা আল্ট্রা মডার্ন টিভি, দেওয়ালে নানা ধরনের পেইন্টিংস, সেখান থেকে তিনটে বেডরুমের দরজা দেখা যাচ্ছে, যদিও এখন বন্ধ আছে। সারা ঘরে রুম ফ্রেসনারের গন্ধ মঁ মঁ করছে।  দেওয়াল ঘেসে দুটো বড় সোফায় দেবশঙ্কর আর একজন মধ্যবয়স্ক মানুষ বসে আছে, যাকে পরে তমাল রায়চৌধুরী বলে জানা গেল। সামনে টেবিলের ওপর একটা স্যাম্পেনের বোতল আর চারটে গেলাস রয়েছে। দুটো গ্লাস খালি, একটা গ্লাসে সামান্য একটু স্যাম্পেন রয়েছে আর একটা গ্লাসে খানিকটা পরিস্কার জল। ঘরের মেঝেতে কোথাও কোথাও জলের চিহ্ন, দেখেই মনে হয় একটু আগেই হয়তো কাজের লোক ঘর পরিস্কার করেছে।

পুলিশ অবশ্য একটু আগেই ফ্ল্যাটে এসে সার্চ শুরু করেছে, টেবিলের পাশেই দু একটা রক্তের ড্রপ শুকিয়ে আছে, টেবিলক্লথের ওপর খানিকটা রক্তের দাগ রয়েছে, এছাড়া ভায়োলেন্সের আর বিশেষ কোন প্রমান ঘরে চোখে পরছে না। একটু আগেই দুঁদে অফিসাররা বেডরুমগুলো বেশ ভালোভাবেই খুঁজে দেখে গেছেন, একদম পরিস্কার, মানে যদি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স কিছু হয়ে থাকে তাহলে তা ঐ টেবিলের আশেপাশেই হয়েছে। প্রাথমিক কথাবার্তায় তমাল আর দেবশঙ্কর দুজনেই কোন ভায়োলেন্স অস্বীকার করেছে। পুলিশের টিম অলরেডি নার্সিংহোমে ঘুরে এসে জানাচ্ছে যে মৌমিতার জামাকাপড়ে সামান্য কিছু রক্তের দাগ আছে কিন্তু হাতের তেলোয় কিছু ধারালো কাট মার্ক আর মাথার পিছন দিকে একটা ব্লান্ট অবজেক্টের আঘাত আছে, আর কোন বড় ক্ষত নেই, কিন্তু ভদ্রমহিলা সেই যে অজ্ঞান হয়েছেন এখনও জ্ঞান ফেরেনি।

ফ্ল্যাটের তলায় তখন বেশ ভিড়, অত্যন্ত ব্যাস্ত রাস্তার দুই ফুটপাথেই ক্যামেরা নিয়ে কলকাতার অসংখ্য টিভি চ্যানেল এসে গেছে, চ্যানেলের নাম লেখা ডিস-ওয়ালা ভ্যানগুলো রাস্তার নানা জায়গায় পার্ক করা রয়েছে। অফিসার দত্তবনিক বাড়ীর দরজা লক করে দেবশঙ্কর আর তমাল নিয়ে সোজা থানায় চলে গেলেন, ওখানেই আসল জেরাটা করা হবে, আরো দুজন পুলিশ অফিসার ওই ফ্লোরের আরো দুতিনটে অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে কথা সেরে পরে ফিরবে।

তমাল আর দেবশঙ্করকে আলাদা ঘরে বসান হোল, দুজন অফিসার জেরা শুরু করলেন।

তমালবাবুর কথাগুলো অবশ্য খুব পরিস্কার। ওনার স্টেটমেন্ট অনুযায়ি – উনি সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার পর দেবশঙ্করদের অ্যাপার্টমেন্টে আসেন, অবশ্যই ওনার পরের ছবিতে মৌমিতার একটা রোল নিয়ে কথা বলতে। সেখানে তখনই মৌমিতা অসুস্থ্য হয়ে পরেছিল এবং দেবশঙ্কর ওর জ্ঞ্যান ফেরাবার চেস্টা করছিল, কিন্তু কিভাবে মৌমিতা অজ্ঞান হয়ে পরেছিল তা তিনি জানেন না। এর কিছুক্ষণ পরেই দেবশঙ্কর নার্ভাস হয়ে গিয়ে তাদের ফ্যামিলী ডাক্তারকে ফোন করে। ওনার পরামর্শেই এ্যাম্বুলেন্সে খবর দেওয়া এবং নার্সিংহোমে পাঠাবার ব্যাবস্থা করা হয়। এই সব ব্যাপার হয়ে গেলে তমাল একটু ড্রিঙ্ক নিয়ে বসেছিলেন, এটা তার দৈনিক অভ্যেস। ঘরে রক্তের দাগ কি করে এলো তা তিনি জানেন না।

সুবলবাবু দেবশঙ্করকে নিয়ে বসলেন।

সুবল। দেববাবু, আপনার আর মৌমিতাদেবির ফ্যামিলীতে যে অশান্তি ছিল তা কিন্তু আমরা আগেই শুনেছি, অস্বীকার করবেন কি?

দেবশঙ্কর। একদম না, প্রত্যেক ফ্যামিলীতেই তো কিছু অশান্তি থাকেই।

সুবল। অশান্তিটা ঠিক কি নিয়ে?

দেব। আমাদের বিয়েটা ভালোবেসেই হয়েছিল। কিন্তু ও বড় জেলাস ছিল। আমাদের প্রফেশানে প্রত্যেক নায়িকা বা ডাইরেক্টার, যাদের সাথে আমরা কাজ করি তাদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলতে হয়, পার্টিতে যেতে হয়, আবার বাড়ীতে পার্টি দিতে হয়। একটা ক্লোজ সার্কেলের মধ্যে সবাইকে থাকতে হয়, না হলে কাজ পাওয়া যায় না। আমার সাথেও কয়েকজন নায়িকার যোগাযোগ ছিল, এস.এম.এস.-এ বা ফোনে, এতে মৌ বড্ড রেগে যেত, বাড়ীতে তুলকালাম হোত, বড্ড পসেসিভ। ও নিজেও টিভির পপুলার অ্যাকট্রেস ছিল, ওরও অনেক কলীগ বা বয় ফ্রেন্ড ছিল কাজের সুত্রে। আমি কিছুই মনে করতাম না, কিন্তু ও নিজেকে সামলাতে পারতো না।

একটু থেমে দেব কিছু একটা ভেবে বললো – ও বোধহয় মেন্টালি একটু আনস্টেবলও ছিল, ভালোবাসার ব্যাপারে বড্ড অ্যাগ্রেসিভ …।

সুবল। আমরা শুনেছি যে রেগে আপনি মাঝে মাঝে মৌমিতার গায়েও হাত তুলতেন? এগুলো অবশ্য মেডিয়ার থেকেই এসেছে।

দেব। অস্বীকার করবো না। সারাদিন খেটে ক্লান্ত হয়ে বাড়ীতে এসে রোজ অশান্তি কার সহ্য হয় বলুন। কাজের পর আমরা কজন মাঝে মাঝে কোথাও গিয়ে একটু আধটু ড্রিঙ্ক করতাম। তারপর বাড়ীতে ফিরে মৌ বাড়াবাড়ি করলে বা খুব গালাগালি দিলে দু একবার গায়ে হাত চলে গেছে। কিন্তু কোনদিন ওকে ফিজিক্যালি হার্ট করিনি। মৌ-ও ওর বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝেই ড্রিঙ্ক করতো কাজেই ওর মাথাও সব সময়ে শান্ত থাকতো না। অ্যাকটর অ্যাকট্রেসদের জীবনে এই সব ব্যাপারগুলো ঘটেই থাকে, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম এক্স্যাম্পল অনেক আছে। তাছাড়া কাজের স্ট্রেসতো আছেই।

সুবল একটু কেসে বললো – আপনার পাশের লোকরা অবশ্য বলছেন যে মৌমিতার অনেক চিৎকার শোনা যেত বেশ রাত্রের দিকে, অনেক সময় ওনার কপালে বা গালে কালশিটের দাগও দেখা গেছে।

দেব একটু ইতস্থত করে বললো – সব কিছু আমার জন্য তা ভাববেন না, ও নিজেই অনেক সময় নিজেকে আহত করতো আর চিৎকার করে লোককে জানানো ওর একটা বাতিক। নেশার ঘোরে ও অনেক সময়ে ইন্ডাস্ট্রির বহু লোককেই গালাগাল দিত। ওর মতে ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি অনেক পার্ভাট ঘুরে বেরাচ্ছে।

সুবল এবার আজকের ব্যাপারে এলো – আচ্ছা, আজকের ব্যাপারটা কি ঘটেছিল একটু বলুন।

একটু মনে করার চেস্টা করে দেব বললো – আজকে আমি আটটার একটু আগেই বাড়ীতে পৌঁছাই। বাড়ীতে তখন তমাল আর মৌমিতা টেবিলে বসে আছে। ঘরের মেঝেটা বেশ ভিজে, কেউ মেঝেটা জল দিয়ে ধুয়েছে কিন্তু তখনও শুকোয়নি। মৌমিতা ভয়ঙ্কর উত্তেজিত কিন্তু সমানে ড্রিঙ্ক করে চলেছে। ওর হাতটা কোন ভাবে কেটে গিয়েছে, বেশ রক্তও বার হচ্ছে।

সুবল। তার মানে উনি তখনও সুস্থ্য ছিলেন?

দেব। নিশ্চয়, কিন্তু তারপরই ব্যাপারটা হোল। আমাকে দেখে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে ও দাঁড়াতে গিয়েই পা পিছলে গেল। নেশায় এমনিতেই ডিসব্যালান্সড, মাথাটার পিছনটা মেঝেতে পরলো, ব্যাস বডিটা কেমন নিঃস্বার হয়ে গেল। আমি কিছুক্ষণ চেস্টা করে তারপর মেডিক্যাল ওপিনিয়ন নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ডাকলাম।

সুবল একটু গম্ভীর ভাবে বললেন – আই সি। আচ্ছা, আজকে আপনি ড্রিঙ্ক করেছিলেন?

দেব। নাঃ, সারাদিন বেশ কয়েকটা স্যুট ছিল। কাজ সারার পর মনে হোল বাড়ীতে গিয়ে একটু বিশ্রাম নি, তাছাড়া মৌ-এর সাথে একটা হলিডের প্ল্যান নিয়ে কিছু কথা ছিল।

সুবল। বাই দি ওয়ে, আপনার সাথে তমালবাবুর সম্পর্ক কেমন।

দেব। প্রথম যখন মুভি জগতে এসেছিলাম তখন ভালোই ছিল কিন্তু পরে কিছু কারণে সম্পর্কটা বেশ খারাপ হয়ে যায়। ওর মুভিতে আমি অনেকদিন আর অভিনয় করিনি। অবশ্য আমার ওয়াইফের সাথে ওর সম্পর্ক বেশ ভালোই ছিল, তাই আমার বাড়ীতে মাঝে মাঝে আসতো।

সুবল সমস্ত কথাবার্তা রেকর্ড করাচ্ছিলেন। কথা শেষ হবার পর কিন্তু পুলিশ দেবশঙ্কর আর তমালকে রিলিজ করলো না। ব্যাপারটা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স কিনা নিঃসংশয় না হওয়া পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতেই থাকতে হবে। অবশ্য থাকার ব্যাবস্থাটা ভালোই হোল। এখন সমস্ত ব্যাপারটাই নির্ভর করছে মৌমিতার জ্ঞ্যান ফেরার ওপর কারণ সেই একমাত্র যে পুরো ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করতে পারে।

*********

To be continued….

Print Friendly, PDF & Email
Previous articleআদুরি
Next articleআসামী বদল (অন্তিম পর্ব)
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments