হে মহাজীবন”, কে তোমায়, কেনকবেছাড়পত্র দিলঅলক্ষ্যেহায় !

একআজব লড়াইশেষেডাকদিল তোমারে সে কোন্কনভয়”!

জীবন যবে মাত্রচারাগাছসম কিরূপে গেল থামি  পরিখা”র প্রান্তে আসি !

আজি এইঅসহ্যদিনে একটিই কথা মোর – ‘তোমাকেই ভালবাসি

ওগোরানার”, জীবনেরবোধনকালে কে তোমারে দিলডাক” !

দুরাশার মৃত্যুবুঝি, সাধেরকলমহায়জ্বলেপুড়ে একেবারে খাক্।

আজি এইনিভৃতক্ষণে যখন একা একা বসে থাকি মম গৃহকোণে,

তখন হেসব্যসাচী”, হৃদয় মোরআগ্নেয়গিরিতবমৃত্যুজয়ী গানএ।

তোমারবিদ্রোহের গানআজিওবিক্ষোভজাগায় অশান্ত অন্তরে,

আরকৃষকের গানযেন চালায় ধারালছুরিমোর হৃদয়ের গভীরে।

যেন বলে আমিপ্রস্তুতআজি এইঐতিহাসিক” “দিকপ্রান্তে”,

কেবল একটিদেশলাই কাঠিযে জ্বালাবে আগুন দূর দিগন্তে।

হে বিরল প্রতিভাচিরদিনেরমত তোমার কণ্ঠ যে করে দিল স্তব্ধ,

তার প্রতিজনতার মুখে ফোটে বিদ্যুৎবাণী”-“জনরব ভয়ানক ক্ষুব্ধ।

যদি কোনগোপন খবর” হতে জনতার দরবারে নীত হত সামান্য সুত্র,

তবে সেইশত্রু একতথা অভিন্ন নিয়তিকে দিত তারা কোনোচরমপত্র।

সে কি সত্যইজ্ঞানী”, নাকি জ্ঞানের মুখোশধারী কোনো অজ্ঞান নির্দয় !

যে জীবনেরসিঁড়িভেঙেআগামীঊষশী করে দিল অন্ধকারময়।

ছিলজাগবার দিন আজকিন্তুঅনোন্যপায়হায় মোরা “মধ্যবিত্ত”,

অভিবাদনকরি হে মৃত্যুহীন প্রাণ, তুমিই প্রেরণা কবি, তুমিই সত্য।

Print Friendly, PDF & Email
Previous articleবাইশে শ্রাবণ
Next articleপরিযায়ী
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments