ব্যলকনিতে বসে রোজ দেখি ছোটদের খেলা,
স্মৃতি পঁটে ভেসে ওঠে সেই শৈশব বেলা।
কুমির-ডাঙ্গা, কানামাছি আর লুকোচুরি,
খেলায় ভরা বিকেলগুলোয় মজা হতো ভুরি ভুরি।
সকাল সন্ধ্যে সহজ পাঠে
বিকেলে মন থাকতো মাঠে
দুপুর বেলা পুকুর ঘাটে
সাঁতারের নানা খেলা
আড়ি-ভাব আর ধূলোবালির সেই শৈশব বেলা।
গ্রীষ্মের নির্জন দুপুরে ঘর থেকে বেড়িয়ে
চুপি চুপি যেতেম সকলের চোখ এড়িয়ে,
চুরি করে কাঁচা-আম কাসুন্দি নুন মাখিয়ে,
ভাগ করে খেতেম; সকলে বসে জাঁকিয়ে।
কালবৈশাখী ঝড় এলে উড়ে যেত ঘুম,
শুরু হতো সকলের আম কুড়োনোর ধুম।
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে সুরে বৃষ্টির-গান গাওয়া,
শিল পড়লে মহানন্দে; সেই কুড়িয়ে খাওয়া।
শরৎ কালে শিউলি ফুল পড়ত ঝরে ঝরে
ভরে উঠে কুড়োতেম মোরা সাঁঝি ভরে।
সন্ধ্যে বেলা পড়ার শেষে দাদু-ঠাম্মার কাছে-
ভুতের গল্প-রূপকথা শোনা আজও মনে আছে।
গাছে গাছে দড়ি বেঁধে বানাতেম দোলা,
সোনালি সেই দিন গুলি যায়না আজও ভোলা।
হৃদয়ের ঝাঁপিতে লুকোনো আজও অমল শৈশব স্মৃতি,
চারিদিকে আজ কৃত্রিম ভালবাসা-স্নেহ-প্রীতি।
শৈশব স্মৃতি
Subscribe
Login
0 Comments
Oldest