এই পৃথিবীর ঘূর্ণিপাকে, কতও কি যে ঘুরতে থাকে,
এই জীবনের প্রতি বাঁকে নতুন কিছু শেখার আছে।
জন্ম থেকে মৃত্যু পথে মানুষ জীবনের রঙ যে খোঁজে,
বুঝতে সে পারেনা তো, সকল রঙের উৎস কিসে?
ছেলেবেলার রঙের বাক্সে, রঙ গুলো সব ফুরিয়ে গেলেও
সাদা রঙ্টা আজও আছে, নতুন হয়ে মুচকি হেসে
নানান রঙের মায়াজালে, সাদা কে কেউ পায়না খুঁজে,
সূর্যের সাদা রশ্মির জোড়েই, রামধনু সাত রঙে সাজে।
সকল রঙকে উপেক্ষা করে সাদার প্রতীক শুভ আনুষ্ঠনে,
তবে সকল খেলা সাঙ্গ হলেও সাদাই শোকের ছায়া টানে।
তিরঙ্গা থেকে রণক্ষেত্র ধবল ধ্বজাই শান্তির প্রতীক,
ধ্বংসস্তূপে সমাপ্তিতেও শ্বেতবর্ণই দেয় ইঙ্গিত।
নিষ্পাপ, সরল মন যেমন শুভ্র বর্ণে বর্ণিত,
কেশের রঙ শুভ্র হলে, সে জীবন খেলায় অভিজ্ঞ।
শুভ্র বস্ত্রে নববধু গীর্জায় বিবাহের নিদর্শন,
আবার হিন্দু নারীর পরিধানে তা বৈধব্যের প্রদর্শন।
যে শ্বেতবর্ণের ছটায় চারিপাশ উজ্জ্বাল ও আনন্দিত,
আবার সেই রঙের মাঝেই থাকে বর্ণহীন নিরাস একাকীত্ব।
শুদ্ধ, খাঁটি, পবিত্র, সাদা রঙেরই প্রতিশব্দ,
আবার পড়ে থাকা বস্তুগুলো হয়ে সাদা ছত্রাকে আবিষ্ট।
এই একটি বর্ণের মাঝেই আছে অবাধ আবেগ বৈচিত্র্য,
সকল রঙের উৎস বলেই, সাদা এক অনন্য।
তাই যত রঙেই রাঙাও তোমার ছেলেবেলার রঙের বই,
জীবন খাতার প্রতি পাতায়, সাদা রঙই তোমার সই।