প্রতীক্ষার তুলাদণ্ডে রেখেছিলাম
চন্দ্রাভ নীলিমার নির্যাস,
নক্ষত্রের সামিয়ানা ঠাঁই পেয়েছিল
স্বয়ং আমার বুকে ; বিস্ফারিত নয়নযুগল,
আসক্ত বাতায়ন ছিল তোমার অপেক্ষায় উৎসর্গীকৃত ;
রিনিঝিনি মঞ্জরীধ্বনী মন্দ্রিত হয়েছিল কাষ্ঠপ্রাচীরের
অপর প্রান্তে, তুমি আসছিলে !
বিরহবেদিত তপ্ত হৃদয় আঁখি
তোমার দর্শনের পরাকাঙ্ক্ষী, অবশেষে তুমি এলে ।-
অসম্বিৎকারী চামেলীর সুবাস ছড়িয়ে দিলে ;
দিগন্তব্যাপী কুহেলিকা লুক্কায়িত করেছিলে
তোমার রক্তিম আঁচলের কোণে,
সহস্র প্রহেলিকা জন্ম নিয়েছিল ঐ বিশ্রস্ত এলোকেশে ;
আমি হেরেছিলাম
লক্ষ সুরভি ভরা সোহাগি আঁখির আবেশে ।
তোমায় দেখে মৌন শশী লুকিয়েছিল
কৃষ্ণ জলভির অন্তরালে ।
এ কেমন তোমার রূপের পরাকাষ্ঠা
যমবন্দী শরীরেও করতে পার প্রাণপ্রতিষ্ঠা !
তোমাতে সম্পৃক্ত বারিধিতে ডুবেছি ক্রমশ –
গাত্রহরিদ্রাভ তব অঙ্গুলিস্পর্শে ।
প্রীতস্নাত ময়ূরের নৃত্য সমগ্র রজনীব্যাপী, বাইরে
জলধির জলবর্ষণ তারই পূর্ণতা রূপী ।
প্রতীক্ষার অবসানে মিলনের মায়াজালে ধন্য কক্ষান্দর ।।