ছোট থেকে দেখে এসেছি ঘরে, স্নানাহারের মতই
পূজা করাটা অবশ্যিক কাজের মধ্যে পড়ে।
সময়ের হাত ধরে, কালে কালে পরিবারের কেউ না কেউ
নেয় সে কাজের ভার।
প্রথমে ঠাকুমা, তারপর মা, তারপর ছোট্ট আমিও।
থরে থরে কত মূর্তি সাজানো, মধুর হাসিতে, নয়নে অভয়,
আশিসের কর বাড়ানো।
দেখে ভক্তি ও ভয় দুই হয়, সবাই বলে
এরাই আমায় রক্ষা করবে, কখনো বিপদে পড়লে।
ফুল, চন্দন, ধূপ, দীপ মিলে সেই যে পূজার গন্ধ
ছাড়ল না আমায় শ্বশুর গৃহেও, ঘিরে রাখে মোর সঙ্গ।
শাশুড়িকে দেখে শিখলাম কত নিয়ম, কানুন, পার্বন
নিত্য কাজেও হয়নি বন্ধ, যেন বহু জনমের বন্ধন।
ব্যঙ্গ করে স্বামী প্রায় বলে, “হলনা পূজার সমাপন?
ধরে নাও না, আমিই তোমার ভোলা মহেশ আর নারায়ন!”
বড় কন্যে মান করে বলে, “আমি না তোমার
লক্ষ্মী ভারতী সমাবেশ?”
ছোট তার সাথে বায়না জোরে, দেখ না দিদি,
আমায় বলে কিনা, ‘তুই আমার গোপাল, তুই আমার গনেশ!’
‘মিথ্যে কথা, মিছে পূজা সব!’ সকলেতে বলে চেঁচিয়ে।
আমি শুধু বলি, “ঠিক ধরেছিস, সবই লোকাচার,
পূজা করি আমি গোপনে।
তোমাদেরই তরে মঙ্গল কামনা
জপি আমি মনে মনে।
দেহ খেকে যখন চলে যাবে মন
সেই দিনে হবে পূজা সমাপন।
পূজা সমাপন
Subscribe
Login
2 Comments
Oldest