শরতের সাদা মেঘের ভেলা আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে,
সুনির্মল শিউলি ফুলের সুবাস চারিদিকে।
শরতে কাশ ফুলের মেলা আর শিশির ভেজা দূর্বা।
মাতৃশক্তির সূচনায় অবসান হয় পিতৃপক্ষের, মহিষাসুর হয় বধ।
দেবীপক্ষের সুপ্রভাতে উমার আবির্ভাব মর্তলোকে।
চারিদিকে আনন্দ সজ্জায় সজ্জিত হয় ধরিত্রী।
মন্দির প্রাঙ্গন পূজা মন্ডপ উদ্ভাসিত হয় রঙিন আলোয়।
আকাশে বাতাসে দিগ্বিদিকে অনুরিত হয় ঢাকের বাদ্দি ।
বেজে ওঠে শঙ্খ ধ্বনি উলুধ্বনি কাঁসর ঘন্টা।
ষষ্ঠীতে নবপত্রিকা প্রতিস্থাপন, সূচনা হয় দুর্গাপূজার
রাগ দ্বেষ ঘৃণা ভুলে জমায়েত হয় সকলে নতুন পোশাক সাজে।
পূজার মণ্ডপে ভিড় জমে সপ্তমীতে।
অষ্টমীতে সন্ধি পূজার আরাধনা
একশত আট প্রদীপ হাতে পুষ্পাঞ্জলিতে মেতে ওঠা।
ঘরে ঘরে ভোগ লুচি-মিষ্টি খিচুড়ি আর পান্তুয়ায় ।
বাঙালী মানেই পেটপুজো আর গল্পের আড্ডায়।
নবমীতে ধুনুচি নাচ আর কুমারী পূজোর রীতি
বাঙালী কি কখনো ভুলতে পারে সেই আবেগমাখা স্মৃতি।
দশমীতে মায়ের বিদায়, দুঃখ মনেই তবুও খেলবে সিঁদুর সবাই।
প্রার্থনা করি মা তোমার সন্তানদের রাখো সুস্থ।
দারিদ্র জড়া দুঃখ হোক দূরীভূত।
মাতৃরূপিণী মৃন্ময়ী চিন্ময়ী তোমার রূপের ঝলক
প্রার্থনা মা তোমার কাছে শান্তিধারায় বর্ষিত হোক এই মর্ত্যলোক।