অতঃপর আমার ভীষন কাঁপুনী দিয়ে জ্বর এলো।

এক মুঠো প্যারাসিটামল ছুঁড়ে দিলাম

ব্যাথা টা মারা গেলো, অবশ হয়ে গেলো

আমি বেঁচে রইলাম। জেগে বসে রইলাম।

এ মৃতদেহ আমাকে পাহারা দিতে হবে।

আমি না জাগলে, চিল শকুনে ছিঁড়ে খাবে

এই বেওয়ারিশ লাশ।

দূরে যুদ্ধ হচ্ছে।

শোনা যাচ্ছে হুঙ্কার,

আর অস্ত্রের ধাতব আলিঙ্গন।

গতকাল অবধি আমিও লড়েছিলাম

ওখানেই আমার মৃত্যু হয়।

বীরের মৃত্যু নয়

অত্যন্ত সাধারণ ছাপোষা একটা ফুরিয়ে যাওয়া।

আমি তো যুদ্ধ চাই নি!

বসে শান্তি চেয়েছিলাম।

সেই ছাপোষা শান্তির দুদন্ডে মুখোমুখি বনলতা কে পাই নি

পেয়েছিলাম এক বেহেড মাতাল কে,

যে ভ্যাড়ভ্যাড় করে চাড্ডি বাজে বকেছিল।

বলাই বাহুল্য, বিপ্লব কে আমি কিছুই দিতে পারিনি।

তবু অভিমান করেছি ষোলো আনা।

বারংবার জিজ্ঞেস করেছি

“এটা কেন হলনা? ওটা কেন হচ্ছেনা?”

তবে যতবার প্রশ্ন এসেছে, “তুমি কোথায় ছিলে?”

ততবার অন্ধ মূক বধির হয়ে থেকেছি,

ভুলে গেছি কোটেশান, স্লোগান

বলেছি, আমি আম আদমি।

এবং ঠোঁটের ওপর তোমাদের করা সেলাই টার ব্যাথা

টাটিয়ে উঠেছে ততবারই।।

Print Friendly, PDF & Email
Previous articleযদি বন্ধু হতে চাও
Next articleশোনো মৃন্ময়ী
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments