ছোটোবেলা থেকেই আমি পড়াশোনা তে বেশ ভালো ছিলাম. কিন্তু অবাক কান্ড, কেয়া ছাড়া আর আমার কোনো বান্ধবী ছিলো না. আপনারা হয়তো মনে করবেন আমি খুব দম্ভ প্রকৃতির কিন্তু ব্যাপার টা ঠিক তা নয়. বরং আমার ও সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করতে ইচ্ছা করতো. কিন্তু ইচ্ছাটি কখনো পূরণ হয়নি. আপনাদের মনে নিশ্চই এখন অনেক প্রশ্ন ছোটাছুটি করছে.
আসুন বিষয়টি এবার পরিষ্কার করে বলি.
নাম আমার তমসা
সরল শ্যামবর্ণা এক নারী
লোকে এই অভাগী কে নিয়ে করে তামাশা
একটু মোটা বলে নবনামাঙ্কিত হয়েছি “মেদিনী”.
এটাই শেষ নয়,
কেশবতী নই গো আমি
জাতে আমি নমঃশূদ্র
তাই অস্পৃশ্যতার শিকার আমি
সঙ্গে স্বেতী তেও আক্রান্ত
এইবার হয়তো বুঝেই গেছেন যে সমস্ত রকম খারাপ বৈশিষ্টতে পরিপূর্না আমি.
অনেক কষ্ট পেয়েছি, সমাজের অনেক প্রত্যাখ্যান কেও মুখ বুঝে সহ্য করেছি.
তবুও বলবো বাকি পাঁচ জনের মতন আমার ও একটা মন আছে, আমিও ভালোবাসতে জানি.
হয়তো সমাজ আমাকে কোনঠাসা করে দিয়েছে, হয়তো বা আমার অনেক অধিকারকে হরণ করেছে.
কিন্তু তাও বলবো আমার ও জীবনে অনেক আকাঙ্খা আছে এবং আমিও স্বপ্ন দেখতে পারি.
কাপুরুষ তারা, যারা আমার বিদ্যা কে অসম্ভব হিংসা করে
আচ্ছা, একজন মনের মানুষ কে চাওয়া কি বিশাল কোনো অন্যায়?
এই জনসমাজের কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য হবোনা
তাও আমি লড়তে চাই, আমি বাঁচতে চাই
আর চিৎকার করে বলতে চাই
আমিই তমসা.